“ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি” অবস্থা বিজয় মালিয়ার, ঋণ মেটাতে প্রস্তুত, জানালেন টুইটারে

ওয়েবডেস্ক: দীর্ঘদিন ভারত সরকারের সাথে লুকোচুরি করার পর, অবশেষে একাধিক ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেওয়া টাকা ফেরত দিতে রাজি হলেন পলাতক ব্যবসায়ী বিজয় মালিয়া।

বুধবার মালিয়া তার অফিসিয়াল টুইটার একাউন্ট থেকে বক্তব্য জানান। নিজেকে নির্দোষ দাবি করে সংবাদমাধ্যম ও রাজনৈতিক নেতাদের দোষারোপ করেন তিনি। টুইটারে তিনি লেখেন, “সংবাদমাধ্যম ও রাজনৈতিক নেতারা ধারাবাহিকভাবে ব্যাংকের ঋণ না মিটিয়ে পালিয়ে যাওয়ার কথা বলছে। এগুলি সবই মিথ্যা। কর্ণাটক হাইকোর্টের কাছে আমার দেওয়া ব্যাংকের সাথে মীমাংসা প্রস্তাবকে সেভাবে তুলে ধরা হচ্ছে না।”

একাধিক টুইটে মালিয়া বলেন, “কিংফিশার এয়ারলাইন্সের আর্থিকভাবে ক্ষতি হওয়ার প্রধান কারণ জ্বালানির দামের বৃদ্ধি। দেশের অন্যতম প্রধান এয়ারলাইন্স হওয়া সত্ত্বেও জ্বালানির উচ্চদামের কারণে ব্যাংকের ঋণের বৃহত্তম অংশ এক্ষেত্রে ব্যায় করা হয়। আমি ব্যাংকগুলিকে একশো শতাংশ টাকা ফেরত দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছি। তিনদশক ধরে ভারতের বৃহত্তম সুরা প্রস্তুতকারক সংস্থা কিংফিশার গ্রুপ। এর মাধ্যমে আমরা রাজ্যগুলিকে হাজার হাজার কোটি টাকার লাভ দিয়েছি। এক্ষেত্রে কিংফিশার এয়ারলাইন্সেরও অবদান আছে। কিন্তু এয়ারলাইন্সে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে তবুও আমি ব্যাংকগুলিকে তাদের টাকা মেটানোর প্রস্তাব দিয়েছি যাতে তাদের ক্ষতি না হয়।”

প্রসঙ্গত গত মাসেই মুম্বাইয়ের স্পেশাল কোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ে আসা নতুন আইন প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং এক্টের অধীনে ইডির মালিয়াকে ‘পলাতক’ ঘোষণা করার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মালিয়ার কোর্টের শুনানিকে স্থগিত করার আবেদনকে খারিজ করে দেয়।

বিগত দুই বছর ধরে ব্রিটেনে বসবাসরত মালিয়া সেখানেও অর্থপাচারে অভিযুক্ত। গত ২২শে নভেম্বর ব্রিটেনের উচ্চ আদালত মালিয়াকে ৮৮০০০ ব্রিটিশ পাউন্ড সেখানকার ইউবিএস ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংককে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। তিনি ওই ব্যাঙ্ক থেকে লন্ডনের সম্পত্তির জন্য প্রায় ২০.৪ মিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ড ঋণ নিয়েছিলেন।

error: Content is protected !!