ত্রিপুরা জনগণ বিজেপি ও আইপিএফটি জোটের ওপর ভরসা করে ভুল করেছে,অভিযোগ ইয়েচুরির

ওয়েবডেস্ক: সিপিআই (এম) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, দেশের সর্ববৃহৎ লোকসভা নির্বাচনের আগে সকল বামপন্থী দলগুলি তাদের দেশব্যাপী আন্দোলনকে শক্তিশালী করবে।

সোমবারসকালে আগরতলা টাউন হলের সিপিআই (এম) এর ২২তম রাজ্য সম্মেলনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ইয়েচুরির বলেন, বিজেপি-আইপিএফটি ক্ষমতায় আসার পর ত্রিপুরা জনগণ আজ সন্ত্রাসের পরিবেশ দেখছে।

রাজ্য সম্মেলনের লক্ষ্য সম্পর্কে বলেন,” লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির মতো অগণতান্ত্রিক শক্তিকে পরাজিত করে বামপন্থী আন্দোলনকে শক্তিশালী করবে এবং ত্রিপুরাতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে সংসদে বামফ্রন্টের শক্তি বাড়াবে। নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ জুটি দেশকে চালাচ্ছে। আমরা বিজেপি-বিরোধী ভোটকে কাজে লাগিয়ে পরবর্তী লোকসভা নির্বাচনের আগে বিকল্প শক্তি গঠন করবো। কিছু মৌলবাদী শক্তিসহ বিজেপি নির্বাচনের ছয় মাস আগে ভগবান রামকে ব্যবহার করে হিন্দু-মুসলিমের মধ্যে বিভাজন করতে চাইছে। তারা ধর্মীয় মেরুকরণ ও সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়িয়ে ভোটে জেতার চেষ্টা করছে।”

ত্রিপুরার বর্তমান পরিস্থিতি উল্লেখ করে ইয়েচুরি বলেন, “বিগত বিধানসভা নির্বাচনের সময়, ত্রিপুরা জনগণ বিজেপি ও আইপিএফটি জোটের ওপর ভরসা করে যে ভুল করেছে এখন তা বুঝতে পেরেছে। এখন দলকে রাজ্যে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে । আমরা প্রতিদিন আমাদের কর্মীদের হারাচ্ছি। ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকদের দ্বারা শত শত বাম সমর্থকদের ও নেতাদের উপর হামলা হচ্ছে, হাজার হাজার ঘর পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে । ত্রিপুরা জনগণ এর আগেও এই ধরনের সন্ত্রাসী পরিস্থিতি দেখেছিলো। আমরা খুবই আশাবাদী যে আগামী দিনগুলিতে তারা সকল বিভক্ত শক্তিকে পরাজিত করে রাজ্যে শান্তি শৃঙ্খলা নিয়ে আসবে। ”

এর আগে উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন সিপিআই (এম) রাজ্যসচিব বিজন ধর। তিনি বলেন,” মার্চ মাসে ত্রিপুরাতে বিজেপির নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় এসেছিল, তারপর থেকে তাদের কর্মী ও গুন্ডারা বাম ও অন্যান্য বিরোধী দলগুলির সমর্থকদের প্রায় ৫০০০ বাড়ি, দোকান আক্রমণ করে এবং ৩১শে অক্টোবর পর্যন্ত ৮৬০টি পার্টি অফিসে তারা লুটপাট করে না হলে পুড়িয়ে ফেলে। সবকিছুই হচ্ছে সরকারি মদতে।”

তিনি অভিযোগ করেন, বিজেপি শাসনের অধীনে এখন ত্রিপুরায় কোন গণতন্ত্র নেই। জনগণের স্বাধীনতা হ্রাস পেয়েছে, মতামত প্রকাশের অনুমতি নেই এবং গণতান্ত্রিক অধিকার হ্রাস পেয়েছে।

ধর আরও বলেন, ২২ তম রাজ্য সম্মেলনটি তিন দিনের পরিবর্তে দু’দিনে হচ্ছে এবং রাজ্যের রাজনৈতিক সন্ত্রাসের কারণে প্রথমবার কোনো ৱ্যালি করা হচ্ছেনা।

error: Content is protected !!