হক জাফর ইমাম(মালদা) সরকারি সাহায্যের অপেক্ষায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে সর্বস্বহারা একই বাড়িতে বসবাসকারী ২টি পরিবার । জখম হয়েছেন ১ সদস্য । আগুনে তাঁর মুখ ঝলসে গিয়েছে । ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার ভোররাতে মালদা চাঁচলের কলেজ পাড়ায় মহকুমা শাসকের করণের পাশে। ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে নিঃস্ব দুটি পরিবারের ভাগ্যে এখনও পর্যন্ত সরকারি সাহায্য জোটেনি বলে অভিযোগ ।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের এক মহিলা জানিয়েছেন, এদিন ভোর রাতে বাড়িতে আগুন লাগার ঘটনাটি টের পান । সেই সময় তিনি চিৎকার করতে থাকেন । তার চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন । জল ঢেলে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালানো হয় । কিন্তু আগুন না নেভায় খবর দেওয়া হয় দমকলকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দমকলের দুটি ইঞ্জিন । আগুন নিভলেও টিনের ছাউনি দেওয়া তিনটি ঘর ভস্মীভূত হয় । একটি পাকা ঘরের জানালা ও দরজা পুড়ে যায়।
ওই দুটি পরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে, রান্না করার সামগ্রী সহ সমস্ত কিছুই পুড়ে গিয়েছে । আগুন থেকে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার সরাতে গিয়ে পরিবারের একজনের মুখ ঝলসে গিয়েছে । আহতকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রতিবেশীদের সাহায্য নিয়ে তাঁকে চিকিৎসার জন্য চাঁচলের সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । চিকিৎসার পর তাঁকে অবশ্য ছেড়ে দেওয়া হয় ।
পরিবারের এক সদস্যা অণিমা দাস জানালেন ,” ভোর রাতে কিছু একটা ফাটার শব্দ শুনতে পাই । বাইরে এসে দেখি আগুন জ্বলছে। চিৎকার করে বাড়ির আশেপাশের সবাইকে ডাকি । প্রতিবেশীরা জল ঢেলে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায়। দমকলের দুটি ইঞ্জিন আসে । টিনের চালা তিনটি ঘর সহ সমস্ত কিছু পুড়ে নষ্ট নষ্ট হয়ে গিয়েছে । রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার সরাতে গিয়ে দেওরের মুখ ঝলসে যায় । এখনও পর্যন্ত সরকারি সাহায্য কিছুই পাইনি । প্রশাসনের কাছে সরকারি সাহায্যের জন্য আবেদন জানাচ্ছি”।
আগুন কিভাবে লেগছে সেই ব্যাপারে কিছু জানাতে পারেননি অণিমা দেবী। তিনি জানিয়েছেন, ” কিভাবে আগুন লাগল বুঝতে পারছি না। তবে ঘটনাটি তদন্ত করে দেখার জন্য পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাব।” আগুনে জখম স্বপন জানালেন,” আগুনে ঘরের সব কিছু পুড়ে গিয়েছে। রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার সরাতে গিয়ে মুখ ঝলসে যায়। রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার ফেটে গেলে আরও বড় ধরনের বিপদ ঘটত ।” তিনি আরও জানালেন,” টিনের চালার ঘর থেকেই আগুন ছড়ায় । কিন্তু কিভাবে আগুন লাগল তা বুঝতে পারছি না।
স্বপনবাবু বাসস্ট্যান্ডে ছোট্ট পানের দোকান চালান। সামান্য চলে তার সংসার । ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে সর্বস্ব খুইয়ে সরকারি সাহায্যের আশায় প্রহর গুনছেন । আর তাঁর বৌদি অণিমা পরের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালান। বছর ৫-৬ আগে স্বামীর মৃত্যু হয়েছে । অগ্নিকাণ্ডে সব হারিয়ে এখন শুধু অপেক্ষা সরকারি সাহায্যের আশায় দিন গুনছেন পরিবারগুলো।