পাকিস্তান থেকে নির্দেশ এসেছে তাই এনসি ও পিডিপি জোট, অভিযোগ বিজেপির

ওয়েবডেস্ক: বৃহস্পতিবার জম্মু কাশ্মীরের রাজ্যপাল এস.পি. মালিক, মেহেবুবা মুফতির নতুন সরকার গঠনের আবেদনকে প্রত্যাখ্যান করে এএনআইকে দেওয়া বিবৃতিতে বলেন,” আমি রাজ্যপাল হওয়ার পর থেকে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে এমএলএ কিনতে টাকা লেনদেনের যে অভিযোগ আসছে তার জন্য কোনো সরকার গঠনে সম্মতি দেবোনা। এমনকি মেহেবুব মুফতিও এই অভিযোগ করেছিলেন। এর সমাধানে আমি নতুন করে নির্বাচনে যেতে চাই এবং নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে কবে নির্বাচন হবে।”

প্রসঙ্গত গত জুন মাসে বিজেপি-পিডিপি জোট সরকার ভেঙে যাওয়ার পর থেকে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও পিডিপি প্রধান মেহেবুবা মুফতি অভিযোগ করছিলেন যে বিজেপি তাদের এমএলএদের ভাঙিয়ে নিয়ে নতুন সরকার গড়ার প্ল্যান করছে।

রাজ্যপাল মেহেবুব মুফতির সরকার গঠনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জানান, “এই জোট সরকার কখনোই জম্মু কাশ্মীরের জনগণের গণতন্ত্র চাই না। এখন যেহেতু তাদের কাছ থেকে ক্ষমতা চলে যাচ্ছে তাই তারা একজোট হয়ে সরকার তৈরী করতে চাইছে। আমি কারোর ওপর পক্ষপাতিত্ব করিনি। জম্মু কাশ্মীরের জনগণ যে মতামত দিচ্ছে তার পক্ষেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”


অন্যদিকে বিজেপি জেনারেল সেক্রেটারি রাম মাধব পিডিপি ও ন্যাশনাল কনফারেন্সকে আক্রমণ করে বলেন, “পিডিপি ও ন্যাশনাল কনফারেন্স গত মাসের স্থানীয় নির্বাচনকে বয়কট করে কারণ তাদের কাছে পাকিস্তান থেকে নির্দেশ ছিল। এখন হয়তো তাদের একসাথে সরকার গঠন করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । মেহেবুবা মুফতি রাজ্যপালকে দেওয়া আবেদনে কখনোই তিনি বলেননি যে কংগ্রেস ও ন্যাশনাল কনফারেন্স তাদের সমর্থন জানাবে। তিনি শুধু বলেছেন যে রাজ্যপালের সাথে দেখা করে সরকার গঠনের দাবি জানাবেন। এগুলি সবই নাটক।”

প্রসঙ্গত গত মাসের স্থানীয় নির্বাচনকে পিডিপি ও ন্যাশনাল কনফারেন্স বয়কট করে। নির্বাচনে ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্রতিনিধিরা বেশিরভাগ স্থানে নির্বাচিত হয়। অনামী পার্টি হয়েও শ্রীনগর মিউনিসিপাল কর্পোরেশনে একক ক্ষমতা পায় জম্মু ও কাশ্মীর প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি।

error: Content is protected !!