সরকারি নীতিকে বুড়ো আঙ্গুল, কৈলাসহরের বিদ্যালয় পরিদর্শকের

অয়ন মজুমদার(রিপোর্টার,কৈলাসহর): সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে কাজ চলছে কৈলাসহর বিদ্যালয় পরিদর্শকের অধীনের বিভিন্ন সরকারি স্কুলে। কৈলাসহর বিদ্যালয় পরিদর্শকের অধীন কুমারঘাটের গদানগরের জয়গোন্ডি উচ্চবিদ্যালয় স্কুলে ৫০ সিটের হোস্টেল নির্মাণ হবে এসএসএ ফান্ডের টাকায়। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল ৫০ সিটের পরিবর্তে ২০ সিটের হোস্টেল তৈরী হচ্ছে। তাও আবার স্কুলের(দপ্তর ঘোষিত) পরিত্যক্ত রুম মেরামতি করে। নিজেদের ইচ্ছামতো মানুষ দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে।

এখানেই শেষ নয়, হোস্টেলের বিছানা, কম্বল সহ অন্যান্য আসবাবপত্র কৈলাসহরের এক রাজনৈতিক নেতা সরবরাহ করছে। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অত্যন্ত নিম্নমানের সামগ্রী সরবরাহ করছে বলে অভিযোগ। এই ব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিমান কুমার দে কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, “রিপিয়ারিংয়ের কাজের জন্য সাড়ে তিন লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। তবে টাকা আমার কাছে আসেনি। আমার কাছে এই ব্যাপারে কোন লিখিত কাগজ আসেনি। তবে মৌখিকভাবে আমাকে জানানো হয়।”

তবে আসবাবপত্র সহ অন্যান্য সামগ্রী কিনতে টেন্ডার কেন ডাকা হয়নি, প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, “এই কাজগুলি বিদ্যালয় পরিদর্শক করাচ্ছে এবং হোস্টেলের জন্য বিছানা ও আসবাবপত্র বিদ্যালয় পরিদর্শকের মৌখিক নির্দেশেই জনৈক ব্যবসায়ীকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ”

অন্যদিকে বিদ্যালয় পরিদর্শক জ্ঞান প্রবীণ চাকমাকে জিজ্ঞাসা করা হলে উনি বলেন, “স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছেই ফান্ড দেওয়া হয়েছে, অতএব কাজ যা হচ্ছে তার হিসাব প্রধান শিক্ষকের কাছেই রয়েছে।”

কিন্তু কোনো টেন্ডার বা বিজ্ঞাপন না দিয়েই জনৈক ৬ ব্যবসায়ীকে বরাত দেওয়ায় দপ্তরের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

error: Content is protected !!