পৃথিবী থেকে প্রায়ই অদৃশ্য ‘এয়ারগ্লো’, সম্মোহিত ছবি প্রকাশ করলো নাসা

ওয়েব ডেস্ক: নাসা সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (আইএসএস) থেকে এয়ারগ্লোর সম্মোহিত করা একটি ছবি প্রকাশ করেছে। এয়ারগ্লো ঘটনাটিতে পৃথিবীর উপরের বায়ুমণ্ডল ঘিরে একটি কমলা রঙ তৈরি করে।

৭ই অক্টোবর ২০১৮-তে অস্ট্রেলিয়া থেকে ২৫০ মাইল দূরে নেওয়া ছবি সম্প্রতি নাসা প্রকাশ করেছিল । পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল, সূর্য থেকে অতিবেগুনী (ইউভি) রশ্মির সাথে সংযোগ করে উচ্চতর বায়ুমণ্ডল থেকে নির্গত হয় এয়ারগ্লো ।

যখন অতিবেগুনি রশ্মি পৃথিবীর উপরের বায়ুমণ্ডলে এসে পড়ে তখন নাইট্রোজেন ও অক্সিজেন উত্তেজিত হয়ে রঙিন আলো বিকীর্ণ করে। বায়ুমণ্ডলের নিঃশোষণের কারণে পৃথিবীতে সনাক্ত করা প্রায়ই কঠিন হয়ে যায়।

এয়ারগ্লো ঘটনাটি সম্পূর্ণরূপে নাসা ক্যামেরাবন্দী করে, তবে পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে এয়ারগ্লোর আলোকরশ্মি ৫০ থেকে ৪০০মাইল পর্যন্ত বিস্তৃত। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ও মহাকাশের উপরের সীমানাগুলির মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কের দৃশ্যমান চিত্রটি নাসার গবেষণার অন্যতম প্রধান বিষয়।

এয়ারগ্লো কিছু কিছু সময় বিদ্যমান থাকে তবে প্রায়ই পৃথিবী ও মহাকাশ থেকে অদৃশ্য থাকে। এয়ারগ্লো কখনো সুক্ষ আলোকরশ্মির ছোট আবার কখন রামধনুর মতো আলোকরশ্মি তৈরী করতে পারে।

পৃথিবীর আবহাওয়া ও  মহাকাশ আবহাওয়ার মধ্যে গবেষণার জন্য নাসা বৃহস্পতিবার, ৮ই নভেম্বর নাসা আইকন(ICON) মিশন চালু করছে। উপগ্রহটি পৃথিবীর আয়োনোস্ফিয়ারের তথ্য অনুসন্ধান ও পরিমাপ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, এ কারণে উপগ্রহটির নাম আইওনস্ফিয়ারিক কানেকশন এক্সপ্লোরার। প্রাথমিকভাবে নাসা, মহাকাশের আবহাওয়া কিভাবে পৃথিবীর উপরের বায়ুমণ্ডলের সাথে সংযোগ করে সে সম্পর্কে আরও জানতে চাই।

প্রথমে আইকন মিশনের তারিখ ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে করা হয়েছিল কিন্তু এর প্যাগাসাস এক্সএল রকেটের সমস্যাগুলির কারণে মিশন শুরু করতে দেরি হয়। দুই বছরের এই মিশনে আয়োনোস্ফিয়ারের তাপমাত্রা, বায়ুর পরিমাপ, আয়ন ড্রিফট, অতিবেগুনী রশ্মি, কণার চলন ইত্যাদি পরিমাপ করা হবে।

আয়োনোস্ফিয়ার পৃথিবীর অনিশ্চিত আবহাওয়ার অনুমান করতে পারে।যার ফলে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের পাশাপাশি জিপিএস উপগ্রহসহ অন্যান্য যোগাযোগ ব্যবস্থার পারিপার্শিক আবহাওয়া সম্পর্কে বিস্তারিত সূচনা আগেই পাওয়া যাবে।

error: Content is protected !!