বিবিধের মাঝে মিলন, হারমনি ২০১৮ উৎসব শুরু হতে চলেছে ত্রিপুরায়

ওয়েবডেস্ক: মহাত্মা গান্ধীর ১৫০তম জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে ত্রিপুরার জিরানিয়া সাব ডিভিশনের বড়জলা বীণাপাণি উচ্চবিদ্যালয় অনুষ্ঠিত হতে চলেছে হারমনি ২০১৮ উৎসব। যুব বিকাশ কেন্দ্র, ন্যাশনাল ইন্টিগ্রেশন ফর আর্টিস্ট এন্ড অ্যাক্টিভিস্টের যৌথ উদ্যোগে এবং যুব বিষয়ক দপ্তরের ত্রিপুরা রাজ্য শাখা ও ত্রিপুরা সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় উৎসবটি সংগঠিত হতে চলেছে।

হারমনি অর্থাৎ বিবিধের মাঝে মিলন, অনুষ্ঠানটিতে যুবক-যুবতীদের বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপ ও শিল্পদর্শন (নাচ-গান, চিত্র প্রদর্শন, হস্তশিল্প)এর মিলন ক্ষেত্রে পরিণত হবে। বিশেষ করে দেশের আদিবাসী সংস্কৃতিকে তুলে ধরা হবে। ২১ থেকে ২৮শে ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এই যুব উৎসব, দেশ ও বিদেশের প্রায় ৫০০ জন যুবক-যুবতী এই উৎসবে অংশ নিয়ে আট দিন ধরে ভারতবর্ষে ঐক্যতা ও শান্তির বার্তাকে তুলে ধরবে। আশা করা হচ্ছে, মাত্র ৮ দিনে প্রায় ৫০০০০ এরও বেশি মানুষ অংশগ্রহণ করবে। এর সাথে সাথে আদিবাসী খাদ্য উৎসব এবং চিত্রকলা ও হস্তশিল্প প্রদর্শনীও থাকছে । শুধুমাত্র ত্রিপুরার নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের খাবারের আসর বসবে উৎসবস্থলে। এই উৎসবের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের বার্তাকে দেশ তথা দেশের বাইরে পৌঁছে দেওয়া যাবে বলে মনে করছেন সংগঠকরা।

আগরতলার প্রেসক্লাবে বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল ইন্টিগ্রেশন ফর আর্টিস্ট ও অ্যাক্টিভিস্টের প্রেসিডেন্ট সর্দার প্রিতপাল সিং পান্নু। এই উৎসবের আয়োজনের লক্ষ্য সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি জানান, “ত্রিপুরা রাজ্যের সংস্কৃতিকে দেশ ও বিদেশের হাজার হাজার মানুষের সামনে তুলে ধরার জন্য এই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। ত্রিপুরা রাজ্যের সৌন্দর্য দেশের সামনে প্রকাশ পেলে এখানে পর্যটনসহ অন্যান্য শিল্পের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে।আবার এই উৎসবের মাধ্যমে ত্রিপুরার যুব সম্প্রদায়, দেশের অন্যান্যস্থানের যুবক-যুবতীদের সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পাবে।”

তবে উৎসবের মূলবার্তা যে ভিন্ন ভিন্ন সম্প্রদায়, সংস্কৃতি-আচার-পরিধানের মাঝে সম্প্রীতি ও ঐক্যতার মিলন, এই কথাও স্পষ্ট করলেন তিনি।

error: Content is protected !!