জিও হইতে সাবধান

কিষান কুমার মালি(চুরাইবাড়ি প্রতিনিধি)- আপনি জিও নেটওয়ার্ক ব্যবহার করেন কি? যদি করে থাকে তাহলে সাবধান । জিও 4G নেটওয়ার্কের নামে মানুষের  পকেট কাটছে ।  ঠকছেন সাধারণ জনগন । এমনটাই অভিযোগ উঠে আসলো উত্তর জেলা কদমতলা চুড়াইবাড়ি সরস্পুর  বাগবাসা রানীবাড়ী পেয়ারা ছড়া নতুন বাজার সহ আশপাশ এলাকার জনগণের কাছ থেকে।  এলাকার জনগনের অভিযোগ জিও টেলিকম সংস্থাটি সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারনা করছে । সব সময় নেটওয়ার্কের বাজে অবস্থা লেগে থাকে । ইন্টারনেট পরিষেবা পাওয়া তো দূরের কথা ফোনে কথা পর্যন্ত বলা যায় না। সাধারণ জনগন জিও নেটওয়ার্ক এর ফোরজি পরিষেবার কারণে অতিষ্ঠ ।
এতদিন জিওর অফিসগুলোতে গিয়ে অভিযোগ জানালেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি । অবশেষে গ্রাহকরা ক্ষোভে ফেটে সংবাদ মাধ্যমের সামনে নিজেদের ক্ষোভ উগরে দেন । জনগণের অভিযোগ এখন মুঠোফোন ছাড়া চলা যায় না । হাতে হাতে এখন মুঠোফোন । ফেসবুক হোয়াটসঅ্যাপ ইনস্টাগ্রাম মেইল হাইক টুইটার সং অন্যান্য অ্যাপস গুলি এখন মানুষের নিত্যদিনের সঙ্গী । হাতে মুঠোফোন না থাকলে অথবা নেটওয়ার্ক না থাকলে কি যেন নেই নেই ভাব মানুষের মধ্যে । কোথায় যেন একটা কমই রয়ে গেছে জনগণের মধ্যে । কারণ এখন যে হাতে হাতে মুঠোফোন এবং ইন্টারনেট পরিষেবার কারণে বিভিন্ন অ্যাপস দিয়ে বিভিন্ন কাজ করছে মানুষ । আর যদি সে মুঠোফোনে ইন্টারনেট পরিষেবাই না থাকে তাহলে যে কতটা ভোগান্তির শিকার হতে হয় মানুষকে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা ।

কদমতলা চুরাইবাড়ি বাঘবাসা শনি ছড়া রানীবাড়ী পিয়ারা ছড়া নতুন বাজার সহ আশপাশের গ্রামগুলিতে গুলিতে জিও নেটওয়ার্ক সংস্থা ফোরজি পরিষেবার নামে ওয়ান জি টু জি পরিষেবা দিয়ে আসছে আর সাধারন গরিব জনগণের সাথে প্রতারণা করে ফোরজি পরিষেবা দেবার টাকা নিয়ে মানুষের পকেট কাটছে। টেলিকম সংস্থা এয়ারটেল, ভোডাফোন, রিলায়েন্স,বিএসএনএল সহ অন্যান্য টেলিকম সংস্থা থেকে মানুষের আস্থা উঠে গেছে। কারণ সেইসব টেলিকম সংস্থা সাধারণ মানুষকে ঝালাপালা করেছিল নেটওয়ার্ক পরিষেবা নামে । কিন্তু জিও নেটওয়ার্ক পরিষেবা আসার পর মানুষ কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিল,কিন্তু সেই নেটওয়ার্কটি অন্যান্য  নেটওয়ার্ক থেকেও বড় প্রতারণা করছে সাধারন মানুষের সাথে বলে অভিযোগ ।

জিও গ্রাহকদের অভিযোগ উনারা ফোরজি সেবা পাবার জন্য ফোরজি প্যাক রিচার্জ করছেন কিন্তু বাস্তবে ওয়ান জি টু জির স্পিড পাচ্ছেন না ।  এমনকি 24 ঘন্টার ভেতর মাত্র দু ঘন্টা নেট পরিষেবা দিয়ে থাকে এই জিও নামক টেলিকম সংস্থাটি। জিওর এই  জঘন্য পরিষেবার কারণে মানুষের দম বন্ধ হয়ে আসছে। এলাকার মানুষ এখন জিও সিম খুলে অন্য নেটওয়ার্ক ব্যবহার করবেন বলেও জানান। তারা আরোও জানিয়ছেন, ফোরজি পরিষেবা দিতে হলে মিনিমাম প্রতি সেকেন্ডে ১৫ থেকে কুড়ি এমবি কেবিপিএস স্পিড হওয়ার কথা কিন্তু ওই এলাকাগুলিতে সর্বোচ্চ ১০০ কেবিপিএস স্পিড মাত্র পাওয়া যায়। এর নাম ওই জিও 4g পরিষেবা ।  মানুষ এখন বলছেন ধুর এ কেমন ফোরজি। এটা ফোর জি না আমাদেরকে ঠকিয়ে টাকা নেওয়া । অনেকে আবার জিও সিম খুলে অন্য নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা শুরু করে দিয়েছেন।

সংবাদমাধ্যমের সামনে ক্ষোভ উগরে দিয়ে জৈনক এক ব্যক্তি জানান, মাসখানেক পূর্বে উনি জাতীয় স্তরের একটি টিভি নিউজ চ্যানেলে একটি  সংবাদে দেখিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জি টেলিফোনে একজন ব্যক্তির সাথে কথা বলার সময় নেটওয়ার্কের সমস্যা হয়। উনি যে কথাটি অপর দিকের ব্যক্তিকে বলেছিলেন কিন্তু ওই ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রীর কথা শুনতে পারেন নি এবং প্রধানমন্ত্রী ওই ব্যক্তির কথাও শুনতে পারেননি। তারপর উনি সমস্ত টেলিকম দপ্তর কে জানান যে এই সমস্যার যেন খুব তাড়াতাড়ি দূরীকরণ করা হয় । কিন্তু এক মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও সেই সমস্যা সমস্যাই রয়ে গেল। তাই বাধ্য হয়ে  জিও সিম বর্জন করে অন্যান্য নেটওয়ার্ক পরিষেবা গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন ওই ব্যাক্তি।

foodzone

সাধারণ জিও গ্রাহক জিও পরিষেবা নামে নাস্তানাবুদ হয়ে পড়ছেন। উনারা বারবার কদমতলার জিও পয়েন্ট অফিসে নেটওয়ার্ক পরিষেবার কথা জানালেও অফিস কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। অপরদিকে কদমতলা জিও পয়েন্ট অফিসের কর্মচারী দেবাশীষ চক্রবর্তী জানান নেটওয়ার্ক পরিষেবা উনাদের দায়িত্বে পড়ে না। আর যদি কোন গ্রাহক জিওর পরিশেবা নিয়ে অসন্তোষ থাকেন তাহলে অন্য নেটওয়ার্কে যেতেই পারেন।
error: Content is protected !!