দশমীর বিষাদে কুম্ভরানীর আগমন

গৌতম পাল(রায়গঞ্জ)  দূর্গাপুজা কেটে গিয়েছে বেশ কয়েকদিন তবুও আপনি যদি ফের পুজোর আমেজ নিতে চান তাহলে চলে আসুন উত্তর দিনাজপুর জেলার করবদিঘীর সিঙ্গারদহে । এলাকার বাসিন্দারা মূলত রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষ জন এই পুজো করে থাকেন। দূর্গাপুজোর দশমীর নয়দিন পর এখানে দেবীর বোধন হয়। পুজো হয় চারদিন ধরে। পুজো উপলক্ষে মেলাও বসে গ্রামে। চারদিনের আনন্দ হৈ-হুল্লোড় শেষে ইতিমধ্যেই মা ফিরে গিয়েছেন কৈলাশ পর্বতে। স্বভাবতই বিষন্ন মানুষের মন । তবে উত্তর দিনাজপুর জেলার করবদিঘীর সিঙ্গারদহের মানুষেরা নতুন করে মেতে ওঠেন পুজোর আনন্দে ।  দূর্গাপুজোর দশমীর নয়দিন পরে যে মঙ্গলবার সেদিন থেকেই এখানে শুরু হয় দূর্গাপুজো ।  সিঙ্গারদহ গ্রামে সোনামতি কুম্ভরানী হিসেবে পুজিত হন দেবী দূর্গা। করবদিঘীর অন্যত্র যখন বিষাদের সুর তখনই এই গ্রামে দেবীর বোধনকে কেন্দ্র করে উৎসাহ উদ্দীপনায় ভেসে গিয়েছে গোটা গ্রাম।

দূর্গাপুজোর সঙ্গে এই পুজোর মিল রয়েছে অনেকটাই । যেমন দূর্গাপুজোর মতই সপ্তমী থেকে দশমী পর্যন্ত দেবী পুজিত হন এখানে। পুজোকে কেন্দ্র করে মেলাও বসে গ্রামে। মায়ের কাছে প্রার্থনা জানাতে দুর-দুরান্ত থেকে হাজার হাজার ভক্তের সমাগম হয় এখানে । প্রচলিত আছে পশু বলির নিয়মও। পুজোর বয়স কয়েকশো বছর বলে এই গ্রামের পাশ্ববর্তী গ্রামগুলিতে দূর্গা পুজো হলেও এই পুজোর গুরুত্বই আলাদা। তাই এখানকার পুজোতে ভক্তির টানে ছুটে আসেন বিভিন্ন গ্রামের মানুষ। মায়ের নামে বেশ কয়েক বিঘা জমি আছে যে জমির ফসলের লাভ থেকে এই পুজো হয়। গ্রামবাসীদের বিশ্বাস মূলত মায়ের আর্শিবাদেই তাদের গ্রাম আজও শষ্য শ্যমলা এবং কোন বিপদ গ্রামবাসীকে স্পর্শ করতে পারে না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here