নিজেস্ব প্রতিনিধি(আগরতলা) প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও রাজধানীর ধলেস্বরস্থিত রামকৃষ্ণ মিশনে ভক্তি ও নিষ্ঠার সহিত পালিত হলো কুমারী পুজো। এবছর কুমারী রুপে পূজিত হয়েছে সায়ন্তিকা চক্রবর্তী। তার শাস্ত্র সম্মত নাম উমা । মহা অষ্ঠমীর সকালে কুমারীকে গঙ্গার পবিত্র জলে স্নান করিয়ে, লাল বেনারসী পড়িয়ে,পায়ে আলতা দিয়ে গয়না পড়িয়ে তাকে সাজানো হয়। এরপর তাকে নিয়ে আসা হয় দেবী দুর্গার সামনে। সেখানেই পূজিত হন তিনি। রামকৃষ্ণ মিশনের সন্ন্যাসীরা সমস্ত রকম আচার আচরন পালন করে কুমারী পুজো করেন।
কুমারী পুজো একটি সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র পুজো । কুমারী মেয়ে প্রকৃতি বা নারী জাতির প্রতীক । কুমারী বা নারীতে দেবীভাব আরোপ করে বলে তার পুজো করা হয়। সংবাদ মাধ্যমের সামনে এমনটাই জানিয়েছেন রামকৃষ্ণ মিশনের এক পুজারি। কুমারী পুজো দেখার জন্য ভোর থেকেই আশ্রম চত্বরে ভিড় জমিয়েছিলেন সাধারন মানুষ।
স্বামী বিবেকানন্দ প্রথম কুমারী পুজো শুরু করেছিলেন। ১৯০১ সাল থেকে চিরাচরিত রীতি মেনে বেলুড় মঠে পালিত হয় কুমারী পুজো। সারদা মায়ের উপস্থিতিতে কুমারী কন্যাকে পুজো করেছিলেন। নয় ব্রাহ্মণ কন্যাকে পুজোর মধ্য দিয়েই মঠে কুমারী পুজোর রীতি চালু হয়েছিল। কিন্তু সময় পাল্টেছে এখন অবশ্য আর নয় কন্যার পুজো হয় না । সমস্ত নিয়ম- রীতি মেনে একজন কুমারী কন্যাকেই পুজো করা হয়।