শীতের আগমনী বার্তায় ব্যস্ততা তুলা কারিগরদের

পল মৈত্র(দক্ষিন দিনাজপুর,পশ্চিমবঙ্গ): পুরোপুরি শীত খুব একটা না থাকলেও শীতের আভাস ভালভাবে টের পাওয়া যাচ্ছে। জেলা জুড়ে শুরু হয়েছে লেপ তৈরির ধুম। ব্যস্ততা বেড়েছে স্থানীয় ও বিহার থেকে আগত কারিগরদের।

এরই মধ্যে বেশ কিছুদিন থেকে শেষ রাতে ও খুব সকাল পর্যন্ত শীত অনুভূত হচ্ছে। আর এই অনুভূতির জন্য বিভিন্ন বাড়িতে বা পাড়ায় পাড়ায় প্রস্তুতি হচ্ছে লেপ-তোশক বাক্সবন্দী থেকে মুক্ত করে সেগুলিকে পরিষ্কার বা মেরামত করার ধুম পড়েছে। আবার কেউ নতুনভাবে তৈরি করছেন। তাই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন লেপ-তোষকের কারিগররা।

দক্ষিন দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে কারিগররা তৈরি করছেন লেপ-তোষক। কারিগরদের টুংটাং আওয়াজ আর বাতাসে উড়ে বেড়ানো তুলা জানিয়ে দিচ্ছে শীত এসে গেছে, ফলে জেলার বিভিন্ন স্থানে লেপ-তোষক তৈরির দোকানগুলোতে কারিগরদের ব্যস্ততা । এছাড়াও জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ হাট-বাজারে বিক্রি ও তৈরিতে তাদের ব্যস্ত সময় কাটছে । একজন কারিগর জানান, সপ্তাহখানেক আগেও তেমন কাজকর্ম ছিল না। বিগত এক সপ্তাহ ধরে ভোরের হালকা কুয়াশায় শীতের আমেজ একটু বিরাজ করছে। এতেই লেপ তৈরির অডার্র দেওয়া শুরু হয়েছে।

জেলার আর একজন কারিগর আহমদ আলী বলেন, “এখন কেবল শীতের একটু প্রবাহ শুরু। আর কয়েকদিন পর রাত-দিন সমান তালেই কাজ করতে হবে আমাদের। বতর্মানে পুরনো লেপ ভেঙে নতুনভাবে তৈরির অডার্রই বেশি পাওয়া যাচ্ছে। সেই সঙ্গে গামের্ন্টসের তুলা দিয়ে তৈরি লেপও বিক্রি হচ্ছে।”

এদিকে বিহার থেকে আসা লেপ-তোশক তৈরির কারিগরেরা (ধুনক) ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন পুরোদমেই। ধুনক মন্টু চৌধুরী জানান, “এক সপ্তাহ হতে আমি প্রতিদনই প্রায় ৫-১০টি লেপ অর্ডার পাচ্ছি। আশা করছি এখন বিয়ের মাস পাশাপাশি শীত পড়তে সেই কারনে প্রতিদিন ২০-২৫টি অর্ডার পাব। আমার কাছে  প্রতিটি লেপ এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত পাঁচ কেজি তুলা দিয়ে বানিয়ে বিক্রি করছি।”

বিহার থেকে আসা কারিগর রাকেশ চৌধুরী জানান, “আমরা শীত আসার শুরুতেই লেপ-তোশক মোটামুটি অর্ডার পেয়েছি পাশাপাশি অগ্রিম কিছু বানিয়ে রাখছি। সাধারণত অনেক ক্রেতা রেডিমেডভাবে এসব ক্রয় করে থাকেন।”

error: Content is protected !!