ওয়েবডেস্ক: নির্বাচনের পূর্বে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন রাজ্যে বিজেপি-আইপিএফটি সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে সামাজিক ভাতা ৭০০টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০০০ টাকা করে দেওয়া হবে, ভিশন ডকুমেন্টেও যার উল্লেখ ছিল।
কিন্তু রাজ্যের জোট সরকার গঠিত হওয়ার পর নয় মাস সময় অতিক্রান্ত হলেও সামাজিক ভাতা বেড়ে ২০০০ টাকা হওয়া তো দূরের কথা কয়েক মাস ধরে ৭০০ টাকা করেও ভাতা পাচ্ছেন না ভাতা প্রাপকরা। রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের মাইনে মাস ফুরোতেই ব্যাংকে জমা পরে কিন্তু কোনো কারণ বসত যদি তাদের মাইনে এক মাসের জন্য বন্ধ হয়ে যায় তখনও কি সরকার এই ভাবেই চুপ থাকবে ? সরকার, সরকারি কর্মচারীদের জন্য সপ্তম পে কমিশন সহ অন্যান্য আর্থিক বৃদ্ধির ব্যবস্থা করে সংবাদ মাধ্যমে তা কিভাবে ফলাও করে প্রচার করা যায় সে বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখছেন। অথচ কর্মক্ষম বৃদ্ধ, বিকলাঙ্গ মানুষ যারা মাসের শেষে ৭০০ টাকা ভাতা পান তাদের ক্ষেত্রে বিলম্ব কেন ?
মঙ্গলবার বিধানসভায় বিধায়ক আশীষ সাহার এক প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা বলেন, “বিগত বামফ্রন্ট সরকারের ঋণের দেনা না থাকলে সামাজিক ভাতাও দেওয়া হত।”
যদি তাই হয় তবে যারা একবেলাও পেট ভরে খাবার পাচ্ছে না, তাদের খাবারের ব্যবস্থা না করে সরকার বাহাদুর বিগত সরকারের ব্যার্থতায় মুখ লুকোবে ?
উল্লেখ্য বিগত সরকার সামাজিক ভাতার ক্ষেত্রে বেনিফিশিয়ারি নির্বাচন করতে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছিলেন শুধুমাত্র স্বজন পোষণের কারণে। কিন্তু ভাতা প্রাপকদের মধ্যে বিশাল অংশ কর্মক্ষম বৃদ্ধ, বিকলাঙ্গ যেমন রয়েছেন ঠিক তেমনি রয়েছেন বিধবা মা-বোনেরাও।যারা সামাজিক ভাতার মাধ্যমে অন্নের জোগাড় ও ছেলেমেয়েদের পড়াশুনার ব্যবস্থা করেন। তাই দীর্ঘ সময় ধরে সামাজিক ভাতা বন্ধ থাকায় তাদের ঘরে উনুন জ্বালানো সম্ভব হচ্ছেনা।
বর্তমান সরকার যদি বামফ্রন্ট সরকারের ঋণের দায়ে অথবা ভাতা প্রদানের ক্ষেত্রে বেনিফিশিয়ারি নির্বাচনে স্বচ্ছতা আন্তে এতটা বিলম্ব করে তবে সত্যিকারের দৈনিক আধপেটা খাবার জোগাতে অক্ষম, এমন সামাজিক ভাতা প্রাপকদের অবস্থা কি হবে তা সহজেই অনুমেয়।যার সাথে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর “সব কা সাথ, সব কা বিকাশ” এর আহ্বান মোটেই মানানসই হবেনা।
![](https://dakbarta.com/wp-content/uploads/2018/11/22-1080x675.jpg)