গ্রেফতার ছোট শাকিলের ভাই, ভারত সরকারের মিশন দাউদের লক্ষ্যে ?

ওয়েবডেস্কঃ মুম্বাইয়ের পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আন্ডারওয়ার্ড গ্যাংস্টার ছোট শাকিলের ভাই আনোয়ার বাবু শেখ ওরফে শিবকে শুক্রবার আবুধাবি বিমানবন্দরে আটক করা হয়। সূত্র জানায়, আনোয়ার একটি পাকিস্তানি পাসপোর্টে করাচির জিন্না আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আবুধাবি বিমানবন্দরে আসে যেখানে তাকে জালি পাসপোর্ট থাকার সন্দেহে আটক করা হয়েছিল।

এই নিয়ে তৃতীয়বার আনোয়ার(৪৫)কে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে আটক করা হয়েছে। ইন্টপোলের রেড কর্নার নোটিশ অনুযায়ী, ২০০০ সালের গোড়ার দিকে আনোয়ার ভারত থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর ফৌজদারি ষড়যন্ত্র, যুদ্ধের চেষ্টা বা ভারতে যুদ্ধের জন্য অস্ত্র সংগ্রহ অপরাধে অভিযুক্ত । সূত্র জানায়, সে এখন পাকিস্তানের আইএসআইয়ের সমর্থনে করাচির ক্লিফটন এলাকায় বসবাস করছে।

সন্দেহ করা হয়, শাকিলের সহকারী ফাহিম আহমেদ ওরফে মাচমাচকেও আনোয়ারের সঙ্গে আটক করা হয়েছিল, কিন্তু অফিসিয়াল কর্মকর্তারা তা প্রত্যাখ্যান করে। সূত্র জানায়, শাকিল দুজন আইনজীবীকে নিয়োগ করেছে আনোয়ারকে বের করার জন্য ।

মুম্বাই পুলিশের একজন সিনিয়র আইপিএস কর্মকর্তা জানান,”আমরা আশা করছি ইন্টারপোল এবং সিবিআই আনোয়ারের আটক সম্পর্কে ইউএই কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেছে। আমরা তথ্য পেতে ইউএইএ কর্মকর্তাদের কাছে একটি ইমেল পাঠিয়েছি। একবার নিশ্চিত হয়ে গেলে আমরা রেকর্ড থেকে আনোয়ারের ফাইলগুলি বের করে মামলাগুলি শুরু করব।” মুম্বাইয়ে আনোয়ারের বিরুদ্ধে ১৫টি তোলাবাজি ও হত্যার চেষ্টার মামলার অভিযুক্ত। ঘটনাচক্রে ২০১৬ সালে শাকিলের সাথে আর্থিক বিরোধের অভিযোগে এক ইভেন্ট ম্যানেজারকে হত্যা করার পরিকল্পনার মধ্যেও তার লিঙ্ক ছিল। সূত্র জানায়, আনোয়ার গুজরাটের বিজেপি নেতা হরেন পান্ডা খুনেও অভিযুক্ত!

সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর সাথে প্রত্যর্পণ চুক্তিতে ইঙ্গিত করে ক্রাইম ব্রাঞ্চের এক অফিসার জানান বর্তমানে আনোয়ারকে ভারতের কাছে হস্তান্তর করার সম্ভাবনা অনেক বেশি। দুবাই থেকে সম্প্রতি অগাস্টা ওয়েস্টল্যান্ড স্ক্যামের “মধ্যস্থতাকারী” খ্রিস্টান মিশেলকে ভারতের প্রত্যর্পণ করা হয়। তিনি বলেন, “আনোয়ারকে ২০০৮ সালে দুবাইয়ে ড্রাগ পাচারের অভিযোগে আটক করা হয়েছিল কিন্তু সেই সময় ভারত সক্ষম হয়নি। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলিতে অবস্থা অনেক পরিবর্তন হয়েছে।”

১৯৯৩ সালে মুম্বাইয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের পর অপরাধ জগতে তার ভাইয়ের খ্যাতি না পাওয়ার আগে আনোয়ার রিয়েল এস্টেট এজেন্ট ছিল। তারপর মুম্বাইয়ে শাকিলের আর্থিক অবস্থা পরিচালনা করত আনোয়ার, কিন্তু মুম্বাই পুলিশের রাডারে আসার পর দুবাই পালিয়ে যায়। সূত্র জানায়, দুবাই থেকে ২০০৩ সালে সে করাচিতে পালিয়ে যায়।

শাকিলের অধীনে কাজ করার পাশাপাশি, সে নিজের গ্যাং শুরু করার চেষ্টা করেছিল। শাকিল দাউদের নির্দেশে ডি কোম্পানির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছে। আনোয়ার কিছু সময় আবু সালিমের সাথে কাজ করেছিল। ১৯৯৭ সালে গুলশান কুমার খুনের মামলায় ইন্টারপোল কর্তৃক দুবাইয়ে আবু সালিমকে গ্রেপ্তার করা হলে শারজা পুলিশ আনোয়ারকে তদন্তের জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল।

error: Content is protected !!