প্রথমাতে আগমন তিতলির, মন খারাপ বাঙালীর

কলকাতা ও আগরতলাঃ পুজোর মুখে “তিতলির” আগমনকে ঘিরে মন খারাপ বাঙালীর। আর মাত্র হাতে গোনা কয়েকটা দিনের অপেক্ষা। তারপরেই উৎসবে মেতে উঠবে আট থেকে আশি সকলেই। শেষ মুহূর্তের কেনাকাটার ব্যাস্ততা এখন তুঙ্গে । কিন্তু তার মধ্যে “তিতলির” আগমন পুজোর আগে অনেকটা বাঙালীর মন বিষন্ন করে তুলেছে।

  হাওয়া অফিস সূত্রের খবর  শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিনত হয়ে ইতিমধ্যেই কলকাতা সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করছে “তিতলি”।বর্তমানে কলকাতা থেকে ৭১১ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়টি।  তার জেরে শহর কলকাতা সহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি ত্রিপুরার আগরতলা সহ বেশ কিছু জেলায় বুধবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছে বৃষ্টিপাত। সঙ্গে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের দীঘা,মন্দারমনি সমুদ্রে মাছ ধরতে নিষেধ করা হয়েছে মৎসজীবীদের।

আবহাওয়ার যে পূর্বাভাস তাতে বলা হয়েছে,  স্থলভাগে ঢোকার আগে আরও শক্তি বাড়বে ‘তিতলি’র।   অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে ‘তিতলি’। তারপরই আগামী ১২ ঘণ্টায় উত্তর-পশ্চিম অভিমুখে অগ্রসর হয়ে তা আছড়ে পড়বে ওড়িশা উপকূলে।

প্রাথমিকভাবে হাওয়া অফিস সূত্রে যেটা জানা যাচ্ছে যে,  অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’র অভিমুখ ওড়িশা উপকূলের দিকেই রয়েছে। জানা যাচ্ছে, ঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার। ‘

এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে  পশ্চিমবঙ্গে প্রবল দুর্যোগের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়ে দিয়েছেন  আবহাওয়াবিদরা। তারা আরও জানিয়েছেন, ‘তিতলি’ আছড়ে পড়ার পর প্রায় ৭২ ঘণ্টা দুর্যোগ চলবে। বৃহস্পতিবার থেকে রবিবার অতি থেকে অতিভারি বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছেন তারা।

আর পুজোর আগে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় নানা রকম অসুবিধার মধ্যে পড়েছেন মৃৎশিল্পী থেকে শুরু করে পুজো উদ্যোক্তারা। বৃষ্টির ফলে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ভাটাপড়ছে বলে জানিয়েছেন পুজো উদ্যোক্তরা।  যদিও আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সপ্তমী থেকেই আকাশ পরিষ্কার হতে শুরু করবে।এখন বরুন দেবের কাছে সকলের একটাই প্রার্থনা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যেন বৃষ্টি পশ্চিম বাংলা ও ত্রিপুরার আকাশ থেকে বিদায় নেয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here