একদা শত্রু বিজেপি আজ বঙ্গ সিপিএমের বড় বন্ধু

নিজেস্ব প্রতিনিধি(বাঁকুড়া) শত্রুর শত্রু আমার বন্ধু। একদা শত্রুকে আজ বন্ধু ভেবে কাছে টেনে নিলো সিপিএম। একটা সময় সিপিএমের পক্ষ থেকে বিজেপি বর্বর দল বলা হলেও সেই বিজেপিকে সঙ্গে নিয়েই পঞ্চায়েত দখল করলো সিপিএম। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার সিমলাপালের পার্শ্বলা গ্রাম পঞ্চায়েতে।

সদ্য সমাপ্ত ১২আসনের এই পঞ্চায়েতে সিপিএম-৫,তৃণমূল-৫ ও বিজেপি ২টি আসনে জয়লাভ করেছে । সোমবার এই পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন হয়। বোর্ড গঠনের সময় সিপিএমের জয়ী প্রার্থীদের সমর্থন করে বিজেপি। বিজেপিকে নিয়েই পঞ্চায়েত দখল করে সিপিএম। ভোটাভুটির পর পঞ্চায়েতের প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন সিপিএমের  সূপর্ণা দুলে ও উপ প্রধান বিজেপির লালমোহন মাহা ।

এই ঘটনা সামনে আসার পরেই ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। একাধিক প্রশ্ন তুলেছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহল। তাদের প্রশ্ন যেখানে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্র থেকে মোদী সরকার কে সরাতে অনান্য দলগুলির সঙ্গে জোটে যাওয়ার কথা ভাবছে সিপিএমের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সেখানে বাংলায় জোট করে কেন পঞ্চায়েত গঠন? তাহলে কি দলের নির্দেশ মানছেন না কর্মীরা। যদিও এব্যাপারে এখনও পর্যন্ত রাজ্য সিপিএমের পক্ষ থেকে কোং বিবৃতি পাওয়া যায়নি।

 

বিজেপিকে সঙ্গে নিয়ে সিপিএমের পঞ্চায়েত গঠন করার নিয়ে  সিপিএমের সিমলাপাল এরিয়া কমিটির সদস্য মঙ্গল হাঁসদা জানিয়েছেন, “বিজেপিকে সঙ্গে নিয়ে বোর্ড গঠন করতে হবে, এমন কোনও নির্দেশ পার্টির ছিলনা। এলাকার মানুষের দাবিকে সম্মান জানিয়ে  মানুষের স্বার্থে ‘জনবিরোধী’ তৃণমূলকে আটকাতেই যৌথভাবে বোর্ড গঠন করা হয়েছে।“যদিও এই বিষয়ে বাঁকুড়া জেলার বিজেপি  সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্রের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

বিজেপিকে সঙ্গে নিয়ে বোর্ড গঠন নিয়ে করা নিয়ে  তৃনমূল-কংগ্রেস জেলা সভাপতি কটাক্ষ করে বলেছেন, “এই জোট টিঁকবে না । বাম-রামের সার্কাস । পাঁচ বছর মেয়াদ পুরণের আগেই এই জোট ভেঙে খান খান হয়ে যাবে”।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here