চলো সুন্দর করে গড়ে তুলি এ পরিবেশ!

র্মঞ্জিলি চক্রবর্তীঃ প্লাস্টিক এই শব্দটির সঙ্গে আমরা সকলেই পরিচত।  ১৮৬২ খ্রিস্টাব্দে ইংল্যান্ডের আলেকজান্ডার পার্কস প্রথম প্লাস্টিক আবিষ্কার করেন।প্লাস্টিক একটি পেট্রোলিয়াম পদার্থ ও সিনথেটিক রেজ্ঞ। এটি ক্লোরিন, ফ্লোরিন এবং অক্সিজেন অনু দিয়ে তৈরী।

প্লাস্টিক যা এখন পরিবেশ দূষণ, জমি,পলি দূষণ থেকে জল দূষণের প্রধান কারণ। গত দশ বছর ধরে প্লাস্টিক বিভিন্ন ভাবে মানুষ ব্যবহার করে চলেছেএবং এতো প্লাস্টিক ব্যবহারের ফলে সেটিকে ঠিক মতো ব্যবহার না করার জন্য ক্রমাগত পরিবেশ দূষণের মাত্রা বেড়ে চলেছে। প্লাস্টিক এমনই একটি বিষাক্ত পদার্থ যা অতিরিক্ত ব্যবহার করার ফলে আমাদের পরিবেশ অতিরিক্ত দূষণ হয়ে চলেছে। এবং এই প্লাষ্টিক মাটির সাথে মিশে যেতে পারেনা। আমরা অর্থাৎ মানবজাতি এতটাই অসেচতন যে নিজেদের ভবিষতের কোনোরকম চিন্তা ভাবনা না করে প্লাস্টিক কক্রমাগত ব্যবহার করে চলেছি।

এই প্লাস্টিক খুবই ক্ষতিকর জলের সব মোকছেদের জন্য। স্থলের জীব-জন্তু যারা রাস্তার ধরে পরে থাকা খাবার খেয়ে বেঁচে থাকে. আমাদের অসেচতনতার প্রভাব পরে আরো অবুঝ প্রাণীদের ওপর তারা অর্থাৎ জীবজন্তু থেকে শুরু করে জলের মাছের এই প্লাস্টিক খেয়ে ফেলছে এবং তার ফলে তাদের মৃত্যু ঘটছে ।

পৃথিবীর সবকিছুর ভারসাম্য আস্তে আসতে নষ্ট হয়ে চলেছে শুধুমাত্র এতো দূষণের ফলে । প্লাস্টিকের বেশি দূষণ দেখা যাই সমুদ্রে ধারে অর্থাৎ যেসব জায়গায় মানুষের বেশি ভিড়।  মানুষ যেখানে প্লাস্টিক ফেলে দূষিত করছে । এছাড়াও যে সব বাণিজ্যিক জাহাজ যাচ্ছে তার থেকে প্লাষ্টিক দূষণ হচ্ছে ।

এছাড়াও বাণিজ্যিকভাবে যেসব মাছ ধরা হচ্ছে তাতেও প্লাষ্টিক দূষণ হয়ে যাচ্ছে ক্রমাগত। নিকাশি ব্যবস্থাও এতো অনুন্নত এবং এতো প্লাস্টিক ব্যবহার তা সঠিকভাবে সঠিক জায়গায় না ফেলার জন্য নিকাশি ব্যবস্থাও অনুন্নত হয়ে চলেছে।  যার ফলে জল জমা , এতে ক্রমাগত দূষণ বেড়ে উঠেছে।আর এত দূষণের ফলে জীবজন্তুর প্লাস্টিক খেয়ে ক্রমাগত মৃত্যুর পথে এগিয়ে যাচ্ছে।

একটি ইউএস রিপোর্টার সমীক্ষায় দেখা গেছে যে , প্রতি বছর এই প্লাস্টিক খাওয়ার জন্য এক লক্ষ্য পশু মারা যাই. আর আমাদের এই ব্যবহৃত প্লাস্টিক একপ্রকার নন বায়ো দিগরেবেল পদার্থ যার মাটির সাথে মিশে যেতে ১০০০ বছর সময় লাগে। যেখানে এই পদার্থ মাটির সাথে ১০০০ বছর সময় লাগে সেখানে আমরা এত পরিমান প্লাষ্টিক ব্যবহার করে যাচ্ছি প্রতি নিয়ত।

সরকার অবগত হওয়া সত্ত্বেও সরকারি গাফিলতি এবং উদাসীনতার ফলে এই দূষণের মাত্রা আমাদের সমাজে আরো ব্যাপক হচ্ছে। আমরা প্লাষ্টিক না পড়াতে পারবো না মাটির তোলাই পুঁতে দিতে পারবো। কারণ এর থেকে আরো দূষণ ঘটবে। তাই সাধারণ নাগরিককে সচেতন হওয়া উচিত।

যেখানে সরকার কঠোরভাবে কোনো দায়িত্ব পালন করছে না. সেখানে সাধারন নাগরিকের কর্তব্য এই দূষণ রোধ করা। নিজের জন্য তো বটেই আমাদের ভবিষত প্রজন্মের জন্যও। আমরা যদি চেষ্টা করি এই পরিবেশ দূষণ রোধ করতে পারি।  যত প্লাষ্টিক ব্যবহার করে ফেলেছি সেটা আমরা বদলাতে পারবোনা কিন্তু যদি আমরা প্লাষ্টিক ব্যাগ ব্যবহার না করে পাটের ব্যাগ, কাগজের ব্যাগ, কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহার করি তাহলে হয়তো এখনো কিছু হতে পারে।

বন্ধ করো এতো দূষণ,

হে সমাজ নাগরিকগণ সচেতন হও ,

এখনো সময় আছে-

নিজেকে বদলে, অন্যকে বদলানোর

চলো সুন্দর করে গড়ে তুলি এ পরিবেশ।

error: Content is protected !!