ওয়েবডেস্ক: শনিবার মালদ্বীপের নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপ্রধান ইব্রাহিম সোলিহের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ভারতের প্রতিনিধি হিসাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রিত করা হয়। কিন্তু পূর্বের রাষ্ট্রপতি আবদুল্লা ইয়ামিনের সময় তার ভারত বিদ্বেষী বিদেশনীতির জন্য ভারত সরকার সতর্ক হয়ে এই অনুষ্ঠানে মোদির মালদ্বীপ যাওয়ার নিমন্ত্রণ গ্রহণ করে। তারপর চীনের আধিপত্য প্রায় ধ্বংস করে প্রধানমন্ত্রী মালদ্বীপে পৌছালেন মালদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্টের শপথগ্রহন অনুষ্ঠানে। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে কোনো দেশের সর্বোচ্চ প্রতিনিধি হিসাবে প্রধানমন্ত্রী মোদী একমাত্র আমন্ত্রিত ব্যক্তি ছিলেন।
নবনির্বাচিত জোটের দুই শীর্ষ নেতা ও প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি মমুন আব্দুল গাইয়ুম ও মোহাম্মদ নাশিদের মাঝে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মোদি। পূর্বতন রাষ্ট্রপতি আবদুল্লা ইয়ামিনের চীনের প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার কারণে ভারতের সাথে মালদ্বীপের সম্পর্কে ক্ষতি হয়। ইয়ামিন ফেব্রুয়ারীতে দেশে জরুরী অবস্থা জারি করলে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য ভারত ও পশ্চিমী দেশের আহ্বানকে এড়িয়ে যান তিনি । এরপরে ভারতের সাথে সম্পর্কে আরো অবনতি হয়।
“ভারত ও অন্যান্য প্রতিবেশী দেশগুলির সাথে মালদ্বীপের বিদ্যমান সম্পর্ককে শক্তিশালী করার জন্য আমরা চেষ্টা করব। মালদ্বীপ ভারত মহাসাগরে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে তার যৌথ ভূমিকা রাখবে, “সোলিহ শপথ নেওয়ার পর তার ভাষণে বলেন।
উদ্বোধন শেষে সোলিহ মোদির সাথে দেখা করেন এবং উভয় পক্ষই এই অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে সম্মত হন। একটি যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “উভয় নেতা ভারত মহাসাগরে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য এবং এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্য একে অপরকে উদ্বেগ ও আকাঙ্ক্ষার বিষয়ে সচেতন থাকার বিষয়ে একমত”।
সুস্থ সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য মালদ্বীপকে সহায়তা করতে মোদি সোলিহকে আশ্বস্ত করেন এবং দিল্লীর ” সাহায্যের হাতকে প্রসারিত করার” আশ্বাস দেন। মোদি প্রস্তাব দিয়েছেন যে মালদ্বীপের প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী গভীরভাবে কাজ করার জন্য উভয় পক্ষের সাথে সাক্ষাত করতে হবে।
চীনের “ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড” প্রজেক্টের অংশীদারি হয়ে মালদ্বীপ চীনের কোম্পানিগুলির কাছে ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। শ্রীলংকা, পাকিস্তানসহ আফ্রিকান দেশগুলিও চীনের কাছে ঋণের বোঝাই অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হয়ে গেছে। এই অবস্থায় ভারতের বিদেশ নীতিকে গ্রহণ করে তারা এই দুর্দশা থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে।
৫৪ বছর বয়েসী একজন অভিজ্ঞ সংসদ সলিহ ইতিমধ্যেই “ভারত প্রথম” নীতির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, কারণ তিনি ইয়েমেনের চীন থেকে গ্রহণ করা ঋণ পুনুরুদ্ধারের জন্য কাজ করছেন। সলিহের সহযোগীরা বলেছেন যে চীনা ঋণ ১.৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি হতে পারে যা দেশের বার্ষিক জিডিপির এক চতুর্থাংশের বেশি।