অয়ন মজুমদার(কৈলাশহর) ধর্ষণ যেন সমাজে এক ব্যাধি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিন দেশের কোথাও না কোথাও ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন মহিলারা। বাদ যাচ্ছেনা শিশুরাও। ত্রিপুরা রাজ্যে দীর্ঘ বাম আমলে প্রায় প্রতিদিন কোথাও না কোথাও ধর্ষণের ঘটনা ঘটতো। সরকার পরিবর্তনের পর সেইভাবে মহিলাদের উপর আক্রমন বা ধর্ষণের ঘটনা না ঘটলেও এখনও বেশ কিছু জায়গায় ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন মহিলারা।
উনকোটি জেলার কৈলাশহরে গণধর্ষিত হলো একই পরিবারের দুই মেয়ে। সম্পর্কে তারা আবার দুই বোন। পৈচাশিক এই ঘটনাটি কালী পূজার পরের দিন অর্থাৎ গত ৯ নভেম্বর। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পুজোর পরের দিন মেলাও সার্কাস দেখার উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় কৈলাশহর পুরো এলাকার দুই বোন।
দুই মেয়েকে খোঁজাখুজি করতে গিয়ে তাদের মা জানতে পারেন তার দুই মেয়ে তেলিয়ামুড়া থানায় রয়েছে। ১১ নভেম্বর তেলিয়ামুড়া থানা থেকে দুই মেয়েকে নিয়ে কৈলাশহর বাড়িতে নিয়ে যান তার মা । বাড়িতে যাওয়ার পর তাদের উপর ঘটে যাওয়া বীভৎস কান্ডের বর্ণনা দেয় দুই বোন।
দুই বোন সংবাদ মাধমের কাছে জানিয়েছেন যে, ওইদিন মেলা দেখে বাড়ি ফেরার পথে লক্ষীছাড়া বাঁধে পৌঁছানোর পর তাদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে গাড়িতে তুলে নেয় কৈলাশহর ছনতৈল এলাকার শ্যাম কিশোর দত্তের ছেলে সুবীর দত্ত। সেই সময় গাড়িতে আরো তিন- চার জন ছেলে ছিল জানিয়েছেন তারা। যাদেরকে দুবোনের মধ্যে কেউ চিনতে পারেনি বলে জানান। গাড়িতে ওঠার সাথে সাথে তাদের হাত-পা ও মুখ বেঁধে দেয় দুষ্কৃতীরা। তারপর তেলিয়ামুড়ার কোনো এক অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে সেখানে একটি নির্জন ঘরে দুই বোনের ওপর পাশবিক লালসা চরিতার্থ করে দুষ্কৃতীরা । সব কিছুর পর তাদের নির্জন ঘরে ফেলে চলে যায় দুষ্কৃতীরা।
পরে চয়ন দাস নামের এক যুবক তাদের তেলিয়ামুড়া রেল স্টেশনে নিয়ে যায় এবং রেলস্টেশনের পুলিশ তাদের তেলিয়ামুড়া থানার হাতে তুলে দেয় । নির্যাতিত দুই বোনের মধ্যে একজনের বয়স ১৮ বছর আরেকজনের বয়স ১৩ বছর। পুরো বিষয়টিকে নিয়ে কৈলাশহর মহিলা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন নির্যাতিত দুই বোনের মা।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৩৬৬,৩৭৬(২)I , ৫০৬, ৩৪ IPC এবং ৪ পস্কো এক্ট ২০১২ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এখন এটাই দেখার যে পুলিশ অভিযুক্তদের কতদিনের মধ্যে গ্রেফতার করে।