মারণরোগ এইডস, সচেতনতার অভাবে আজও অস্পৃশ্য তারা

সংহিতা চক্রবর্তী: পয়লা ডিসেম্বর শনিবার বিশ্ব এইডস দিবস, ১৯৮৮ থেকে প্রতি বছর এই দিনটিকে বিশ্বের মানুষ এইডস দিবস হিসাবে পালন করে আসছে। এখনো পর্যন্ত প্রায় ৪ কোটি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে এই রোগ এবং এখনও অনেক মানুষের মৃত্যু সঙ্গী হতে চলেছে এইডস।

তাহলে এখন প্রশ্ন হল এইচআইভি বা এইডস কি ? আর সমাজের ওপর এর প্রভাব কিরকম ? এইচআইভি একটি ভাইরাস যার অন্তিম পর্যায় হল এইডস। এই ভাইরাস দূষিত রক্ত, ব্যবহৃত ইনজেকশন ও অনিয়ন্ত্রিত যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে মানবদেহে প্রবেশ করে।

কিন্তু সমাজের বেশিরভাগ মানুষই মনে করে এইডস শুধুমাত্র যৌন সম্পর্কের মাধ্যমেই ছড়ায়। আবার অনেকে মনে করে, এইডস রোগীর সংস্পর্শে আসলে এই রোগ ছড়িয়ে যায়। যাদের মধ্যে শিক্ষার অভাব তাদের কথা ছেড়েই দিলাম কিন্তু তথাকথিত শিক্ষিত মানুষের মনোভাব এইডস রোগ সম্পর্কে ধারণা এখনও পাল্টায়নি।

এইডস রোগীরা আজও অস্পৃশ্য সমাজ থেকে। আর এর প্রভাব পড়ে রোগী ও রোগীর পরিবার, আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে। অনেকসময় চক্ষুলজ্জা ও সমাজের অস্পৃশ্যতার ভয়ে রোগীরা এইডসএর চিকিৎসা করাতে ভয় পান। ফলে সমাজে এই রোগ ছড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়।

সরকার ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক বিভিন্ন কর্মসূচি করলেও তাতে সমাজের মানসিকতা তেমন পরিবর্তন হয়নি । কারণ এই রোগ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরী করতে পারিবারিকস্তরে মা-বাবা তার সন্তানদেরকে জানাতে বিরত থাকেন।

২০১৮ সালে এসেও সমাজের এই রোগটি সম্পর্কে সঠিকভাবে জানার উদাসীনতা দেখা যাচ্ছে। তবুও আমাদের বিশ্বাস, সমাজ এইডস সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করে রোগীদের প্রতি সহানুভূতি দেখাবে এবং প্রত্যেক মানুষই নিজেকে সুরক্ষিত রেখে সমাজকে এই মারণরোগের হাত থেকে বাঁচাবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here