সোমবার দুপুর থেকেই সরযূ নদীর ধারে ভিড় জমাচ্ছিলেন পুণ্যার্থীরা। অযোধ্যার পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে বাস, ম্যাটাডর করে এসে তাঁবু খাটিয়ে অনেকে রাত কাটিয়েছেন নদীর তীরেই। লক্ষ্য কার্তিক পূর্ণিমার কাকভোরে পুণ্যস্নান। অন্যবারের থেকে এবারের স্নানের একটা মৌলিক পার্থক্য ছিলই। ঐতিহাসিক রামমন্দির রায়ের পর এই প্রথম কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন স্থানীয়রা। এই পবিত্র দিনেই রামমন্দিরের জন্য গঠিত হতে চলা ট্রাস্টের সভাপতি হওয়ার জন্য যোগী আদিত্যনাথের নাম প্রস্তাব করল রাম জন্মভূমি ন্যাস (ট্রাস্ট)। যোগীকে ট্রাস্টের সভাপতি করা প্রসঙ্গে মঙ্গলবার ন্যাসের চেয়ারম্যান মোহন্ত নৃত্যগোপাল দাস বলেন, “রামমন্দির আন্দোলনে গোরক্ষপীঠের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মোহন্ত দিগ্বিজয় নাথ, মোহন্ত অভৈদ্ব নাথ ও বর্তমানে যোগী আদিত্যনাথের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাই আমরা যোগীজিকে ট্রাস্টের সভাপতি হিসাবে চাই।” আদিত্যনাথ ছাড়া বিশ্ব হিন্দু পরিষদ সভাপতি চম্পত রাই, কোষাধ্যক্ষ ওমপ্রকাশ সিংঘলরাও থাকতে পারেন বলে জানিয়েছে ন্যাসের সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড মোহন্ত কমলনয়ন দাস। আরও বলেন, “মোহন্ত নৃত্যগোপালের তত্ত্বাবধানে কাজ করবে এই ট্রাস্ট।”