তথ্য জানার অধিকারের আওতায় প্রধান বিচারপতির দপ্তর

১৩৪ বছরের আইনি জটিলতা নিয়ে চলতে থাকা বিতর্কিত অযোধ্যা মামলার রায় দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। এবার তিনি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির অফিসও আরটিআই বা তথ্য জানার অধিকারের আওতায় পড়বে, সেই রায় দিলেন।
এক দশক আগে দিল্লি হাই কোর্টে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির অফিসকে তথ্যের অধিকার আইনে আনার আবেদন জানান চন্দ্র আগরওয়াল নামে এক ব্যক্তি। তাঁর করা সেই আবেদনে ২০১০ সালে দিল্লি হাইকোর্ট সম্মতির রায় দিয়েছিল। ১৩ নভেম্বর ২০১৯-এ সেই আবেদনে শিলমোহর পড়ল সুপ্রিম কোর্টের সম্মতিসূচক রায়ে। আরটিআইয়ের আওতাভুক্ত হল প্রধান বিচারপতির কাজ। এই রায়ের ফলে এবার থেকে প্রধান বিচারপতির অফিস থেকে যে কোনও তথ্য প্রকাশ করার আগে ব্যক্তিগত পরিসর ও গোপনীয়তার মধ্যে ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করতে হবে বলে নির্দেশে জানানো হয়েছে। তেমনই তথ্য জানার অধিকার আইন যে কখনোই প্রধান বিচারপতির অফিসের ওপর নজরদারির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারবে না তাও জানানো হয়েছে। বিচারবিভাগের স্বাধীনতা যাতে খণ্ডিত না হয়, সেদিকেও দৃষ্টি রাখতে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। গত ৪ এপ্রিল এই মামলার শুনানি শেষ হয়। এই মামলার রায় স্থগিত রাখে সুপ্রিম কোর্ট। বুধাবার সেই রায় বেরল। এদিন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ ৩:২ সম্মতি জানায় দিল্লি হাইকোর্ট রায়কে। এই পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে ছিলেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি জে খান্না , বিচারপতি দীপক গুপ্তা, বিচারপতি রামান্না, বিচারপতি চন্দ্রচূড়। রায়ে সহমত পোষণ করেন রঞ্জন গগৈ, জে খান্না , দীপক গুপ্তা। বিপক্ষে ছিলেন রামান্না, চন্দ্রচূড়।

error: Content is protected !!