BRICS সম্মেলনে ডিজিটাল ইকোনমিকেই হাতিয়ার করবে মোদী

১১তম BRICS সামিটে যোগদান করতে ব্রাজিল পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দু’দিনের এই সফরে বিশ্বের প্রথম সারির পাঁচটি দেশ সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করার জন্য একাধিক ইস্যুতে কথা বলবেন। মূলত, ডিজিটাল ইকোনমি, বিজ্ঞান, টেকনোলজি, সন্ত্রাস দমনে সহায়তা এই বিষয়গুলিতেই আলোকপাত করা হবে বলেই জানা গিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন সরকারি আধিকারিকদের একটি দল। BRICS সম্মেলনে এবারের থিম “ইকোনমিক গ্রোথ ফর অ্যান ইনোভেটিভ ফিউচার”। এই নিয়ে ছয়বার ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি ভারত থেকে একটি বড় ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দলও এই ব্রিকস বিজনেস ফোরামে অংশ নিতে পারে।

জানা যাচ্ছে, ব্রিকসের সম্মেলন চলাকালীন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং চিনের রাষ্ট্রপতি শিং জিন পিং-এর সঙ্গে পৃথক ভাবে আলোচনায় বসতে পারে মোদী। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী ব্রিকস ব্যবসায়িক ফোরামের সমাপ্তি অনুষ্ঠানেও অংশ নেবেন বলে জানা গিয়েছে।

ব্রিকস-এ নরেন্দ্র মোদীর আলোচনা মূল বিষয়বস্তু হতে পারে সন্ত্রাসবিরোধী কার্যকলাপের ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা বড়ানো। পাশাপাশি সারা বিশ্বে সার্বভৌমত্ব প্রয়োগের জন্য চ্যালেঞ্জ এবং কীভাবে তা সমসাময়িক বিশ্বে প্রয়োগ করা হবে তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

ব্রাজিলের উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি ব্রিকসে অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে মত বিনিময় করা জন্য মুখিয়ে রয়েছি। ব্রিকসের অন্তর্গত দেশগুলির মধ্যে আরও পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সমন্নয় গড়ে তুলতে হবে। সন্ত্রাসবিরোধী কার্যকলাপের ক্ষেত্রেও পারস্পরিক সহযোগিতা বড়াতে হবে।”

সন্ত্রাসে অর্থনৈতিক মদত বন্ধ করতে বিশেষ যা যা করতে হয় সব ব্যবস্থায় পারস্পরিকভাবে সাহায্য করতে হবে। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ব্রাজিলে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী। তবে ব্রাজিলে নতুন প্রেসিডেন্ট আসার পর এই প্রথম BRICS সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন মোদী।

error: Content is protected !!