ডালের মিল খুলুন, স্বনির্ভর হোন পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রীর

আগরতলাঃ রাজ্যে বেকার যুবক-যুবতীদের ডালের এবার মিল খোলার পরামর্শ দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। বৃহস্পতিবার  খাদ্য,জনসংরক্ষন ও ক্রেতা বিষয়ক দপ্তর ত্রিপুরা সরকারের পক্ষ থেকে গনবন্টন ব্যবস্থায় মুসুরডাল সরবাহের শুভ উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি যুবকদের মুসুর ডালের মিল খোলার পরামর্শ দেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী  বলেন, ‘ত্রিপুরা রাজ্যে সেই ভাবে মুসুর ডাল উৎপাদন হয়না। মধ্যপ্রদেশ থেকে মুসুর ডাল কিনে তাকে আবার উত্তরপ্রদেশের কানপুরে মিলে নিয়ে এসে মিলিং করে রাজ্যে নিয়ে আসা হবে। আর এই মিলিং করার জন্য রাজ্য সরকারের খরচ হবে ৬ কোটি টাকা’। এরপরেই তিনি বলেন, ‘এখানে অনেক যুবক-যুবতী রয়েছেন। আমি তাদের বলব সরকার তো ডাল আনার জন্য ৬ কোটি টাকা প্রতিবছর দিতে থাকবে। সেই ৬ কোটি টাকা অন্য রাজ্যে চলে যাক এটা কেন হবে? আপনারা এখানেই ডালের মিল তৈরি করুন। ২০ জন ছেলে মিলে একটি সোসাইটি তৈরি করুন। তারপর ব্যাঙ্ক থেকে লোন নিয়ে ডালের মিল খুলুন। এতে ছেলে-মেয়েদের রোজগার হবে এবং রাজ্য সরকার যে ৬কোটি টাকা অন্য রাজ্যে দিতো সেটা রাজ্যের ছেলেমেয়েদেরকেই দেবে। এতে অনেক বেকার ছেলে-মেয়ে স্বনির্ভর হবে।‘

পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী এটাও জানিয়েছেন যে চাকরি  পাওয়ার জন্য এবার আর আমার কাছে আপনাদের যেতে হবেনা। আপনারা নিজেরাই চাকরি দিতে পারবেন। মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ ডালের মিল খোলার পর যে টাকা আসবে সেই টাকার কিছুটা অংশ রাজ্যের কৃষকদের দিয়ে দিলে তারা সেই টাকা দিয়ে মুসুর ডাল চাষ করতে পারবে। তাহলে রাজ্য সরকারকে আর মধ্যপ্রদেশ থেকে ডাল কিনতে হবেনা।  এর আগে রাজ্যের বেকার সমস্যা মেটাতে ঘরে ঘরে গো-পালনের পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি।

তাঁর যুক্তি ছিলো ত্রিপুরায় পঞ্চাশ টাকা কিলো দরে বিক্রি হয় গরুর দুধ। স্নাতক হয়েও যাঁরা দশ বছর ধরে বেকার, গোপালন করলে তাঁদেরই আজ দশ লক্ষ টাকার ব্যাঙ্ক ব্যালান্স হত। মুখ্যমন্ত্রীর মতে, দশ বছরে স্রেফ গরুর দুধ বিক্রি করেই ওই টাকা উপার্জন করতে পারতেন তাঁরা। এরপরেও মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য নিয়ে অনেক সমলোচনার ঝড়ও উঠেছিলো। কিন্তু অনেকে আবার মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যকে সমর্থনও জানিয়েছিলেন। এখন দেখার মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর বিরোধীরা কি জবাব দেন?

error: Content is protected !!