আঠেরো বছর বয়সে ছেলেটা যা করলো তা শুনলে আপনারা চমকে উঠবেন

আঠারো বছর বয়স কী দুঃসহ
র্স্পধায় নেয় মাথা তোলবার ঝুঁকি,
আঠারো বছর বয়সেই অহরহ
বিরাট দুঃসাহসেরা দেয় যে উঁকি।

কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের আঠেরো বছর বয়স কবিতাটি আমাদের প্রায় সকলের জানা। আঠেরো কোন মানেনা বাঁধা,মানেনা কোন বিপত্তি। স্বপ্ন দেখে আঠেরো কোন কিছু গড়তে।ছোট বেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতেন মা দুর্গার মূর্তি গড়বেন। তার হাতের ছোঁয়াতেই চিন্ময়ী থেকে মৃন্ময়ী হয়ে উঠবে মা দুর্গা। ছোট্ট বেলা দেখা সেই  স্বপ্ন আজ সফল হলো কল্যানপুর ঘিলাতলির বাসিন্দা তাপস দেবনাথের। তার হাতের ছোঁয়াতে প্রান ফিরে পাচ্ছেন মা।

একাদশ শ্রেণীর ছাত্র তাপস চার বছর ধরে পড়াশুনার ফাঁকে ফাঁকে সময় ব্যয় করে শিবজ্যোতি দেবরায়ের কাছ থেকে মৃৎশিল্পের সমস্ত কাজকর্ম শেখে।  তরুনতুর্কি যুবক তাপস ১০ ইঞ্চি উচ্চতা এবং ১৪ ইঞ্ছি প্রস্থের কাঠ,মাটি,কাপড় দিয়ে দুর্গা প্রতিমা তৈরি করে কল্যানপুরবাসীর মধ্যে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।  তাপসের এই প্রয়াসে খুশী ঘিলাতলির মানুষ। বর্তমান সমাজের ছেলে মেয়েরা বেশীরভাগ চান ডাক্তার,ইঞ্জিনিয়ার বা সরকারি চাকুরীজীবী হতে। কিন্তু গ্রামবাংলার কুটির শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার লোক আজ খুঁজে পাওয়া দুস্কর। কিন্তু ত্রিপুরার মাটিতে ছোট্ট তাপসদের মত ছেলেরা রয়েছে বলে ভবিষ্যতেও বেঁচে থাকবে গ্রাম বাংলার এই মৃৎশিল্প। আর এই শিল্পীদের হাতের ছোঁয়া পেয়েই জেগে উঠবে মায়ের প্রান।

রিপোর্টারঃ গোপাল ভট্টাচার্য(কল্যানপুর)

error: Content is protected !!