শারদ উৎসবে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি ব্যস্ত কুমারঘাটের বিভিন্ন ক্লাব।

জনি ভট্টাচার্য(কুমারঘাট) শারদীয়া দূর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে মণ্ডপ তৈরী এবং প্রতিমা তৈরিতে এখন শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা উনকোটি জেলার কুমারঘাটের বিভিন্ন ক্লাবগুলিতে। কুমারঘাটের মধ্যে সব চাইতে বড় বাজেটের পূজোর তালিকার শীর্ষে রয়েছে চিত্তরঞ্জন ক্লাব এবং দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সুভাষ সংঘ ক্লাব।
তবে কুমারঘাটে আরও কিছু ক্লাব থাকলেও তৃতীয় বড় বাজেটের মধ্যে রয়েছে কুমারঘাটের ইয়থ ক্লাব।১৯৭৮ সনে  এই ক্লাবের প্রতিষ্ঠা হয়। কুমারঘাটের বহু পুরোনো সুনামধন্য এই ক্লাবটি বরাবরই দূর্গা পূজোর বাজেটে তৃতীয় স্থান দখল করে আসছে।
এবছরও এর কোন ব্যাতিক্রম হয়নি। বরাবরের মতোই এবছর এই ক্লাবের সদস্যরা দেবী দূর্গার আরাধনায় ব্রতী হয়েছে এবং এবছরে মহাভারতে কর্ণের ভূমিকা এই থিম নিয়ে আয়োজিত পূজোয় তাদের বাজেট ৭ লক্ষ টাকা।

অপরদিকে  শহর পেরিয়ে গ্রামাঞ্চলেও বিভিন্ন ক্লাব দূর্গামায়ের আরাধনায় মেতে উঠেছে।
কুমারঘাট শহর সংলগ্ন ফটিকরায়ের এগিয়ে চলো ক্লাবের এই বছরের বাজেট  ৫ লক্ষ টাকা। শেষ মুহূর্তে তুলির টান দিতে ব্যাস্ত মণ্ডপ সজ্জায় নিয়োজিত শ্রমিকরা। ফটিকরায় পেরিয়ে কাঞ্চনবাড়ী এলাকার অন্য একটি ক্লাব হল ইণ্ডিয়া ক্লাব । প্রতি বছরের মতো এবছরও ক্লাবটি দশভূজা মায়ের পূজোয় আরাধনায় মেতে উঠেছে। এবার তাদের পূজোর বাজেট ৫ লক্ষ টাকা এবং। এবার তাদের পুজো মন্ডপে আসলেই দেখা যাবে এক অন্য চিত্র। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদীর “বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও” এই থিম এবার দেখা যাবে ইণ্ডিয়া ক্লাবের পূজোতে।  অনান্য বারের থেকে এবারের পূজোয় লোক সমাগম আরও বেশি হবে বলে আশাবাদী তিনটি ক্লাবের সদস্যরা।

error: Content is protected !!