কিষান কুমার মালি(ধর্মনগর) রবিবার মহাপঞ্চমী। রাত পোহালেই দেবীর বোধন। তারপরই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব । পূজিত হবেন দশভুজা দেবী দুর্গা। চারিদিকে মণ্ডপ তৈরিতে চরম ব্যস্ততা। ব্যস্ততা কুমোরপাড়ায় দুর্গা প্রতিমা তৈরিতে । শেষ তুলির টান দিতে ব্যস্ত মৃৎ শিল্পীরা। রাত পোহালেই ষষ্ঠী আর তার আগে প্রতি মন্ডপে মন্ডপে দুর্গা প্রতিমা পৌঁছে দেওয়ার তাগিদ মৃৎ শিল্পীদের মধ্যে । মৃৎ শিল্পীরা নাওয়া খাওয়া ছেড়ে দিন রাত দূর্গা প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত। কারণ হাতে যে আর মাত্র একটা দিন। তাই দূর্গা প্রতিমা তৈরিতে শেষ তুলির টান দিতে মৃৎশিল্পীদের ব্যস্ততা । আবার অনেক মন্ডপে দূর্গা প্রতিমা পৌঁছেও গেছে।
ধর্মনগর মহকুমা সহ নতুন বাজার, লালছড়া, কদমতলা,প্রেমতলা,চুরাইবাড়ি,শনিছড়া,ও বাগবাসা এলাকার মৃৎ শিল্পীদের চোখে মুখে চরম ব্যস্ততা পরিলক্ষিত হচ্ছে । প্রতিটি ক্লাব ও সার্বজনীন পূজো মন্ডপে দূর্গা প্রতিমা পৌঁছে দেওয়ার তাগিদ মৃৎ শিল্পীদের মধ্যে । কারন হাতে যে আর একটা মাত্র দিন । তারপর ওই দুর্গা প্রতিমা প্রতিটি ক্লাব ও সর্বজনীন পূজামণ্ডপে নিয়ে যাওয়া হবে।তাই মৃত শিল্পীরা দূর্গা প্রতিমা তৈরিতে চরম ব্যস্ত। তবে টানা ৪/৫ দিনের প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে মৃৎ শিল্পীদের দুর্গা প্রতিমা তৈরিতে অনেকটাই বাধা বিপত্তি ঘটে । সমস্যায় পড়তে হয় মৃৎ শিল্পীদের। তবুও দিন রাত অবিরাম পরিশ্রম করে শিল্পীরা যথা সময়ে পূজো মন্ডপে দুর্গাপ্রতিমা পৌঁছে দিতে খামতি রাখছেন না।
এদিকে ডাকবার্তা ডট কমের প্রতিনিধিকে মৃৎশিল্পীরা জানান বর্তমানে মাটি বাঁশ কাঠ খের সহ অন্যান্য সামগ্রীর মূল্য আকাশ ছোঁয়া। কিন্তু দুর্গা প্রতিমা বিক্রির মূল্যটা তেমন বৃদ্ধি পায়নি। পূর্বে যেমনটা তাদের মুনাফা হতো তেমন মুনাফা এবার তাদের নেই । মূর্তি নির্মাণ করে মৃৎশিল্পীরা বর্তমানে দু’বেলা দু’মুঠো ভাত খাওয়াটা দুষ্কার্য হয়ে পড়েছে। অতি প্রতিকূলতার মধ্যেও উনারা মূর্তি নির্মাণ করে যাচ্ছেন । কাজে সঠিক করলেও পারিশ্রমিক ঠিক মতো পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন মৃৎশিল্পীরা । পাশাপাশি প্রবল বৃষ্টির কারনে এবার তাদের মূর্তি তৈরি করতে কিছুটা সমস্যা হয়েছে। মৃৎশিল্পীরা জানিয়েছেন, তারা যদি সরকারের কাছ থেকে সাহায্য পেতেন তাহলে কিছুটা হলেও লাভবান হতে পারতেন। বর্তমানে মূর্তি নির্মাণ করে তাদের সংসার আর চলে না বলে মৃৎশিল্পীরা জানান । অপরদিকে বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে কুমোর পাড়া থেকে বিভিন্ন ক্লাব ও সার্বজনীন পূজা কমিটির উদ্যোক্তারা পঞ্চমীতে দশভূজা দেবী দুর্গাকে পুজো প্যান্ডেলে নিয়ে গিয়েছেন । এমনকি পঞ্চমী থেকেই দর্শনার্থীরা দুর্গা প্রতিমা দেখতে ছুঠে আসেন।