রথযাত্রার দিন বাজবে খোল করতাল, খঞ্জনিঃ অনুব্রত

সাবানুল মাজহার,বীরভূমঃ “রথযাত্রার দিন বাজবে খোল করতাল, খঞ্জনি।“ বিজেপির রথযাত্রাকে কটাক্ষ করে একথা বললেন শাসক দলের বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডল।  রাজ্যজুড়ে বিজেপির রথযাত্রার দিন যত এগিয়ে আসছে ততই এই রথযাত্রা নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে রাজ্যের রাজ্য-রাজনীতি।

বুধবার একই দিনে বীরভূমে ছিল দুই বিরোধী রাজনৈতিক দলের দুটি পৃথক সভা ছিলো । বিজেপির তরফ থেকে বোলপুর রেল ময়দানে তাপস বাগদির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনার প্রতিবাদে একটি সভার আয়োজন করা হয়, অন্যদিকে আজ একই দিনে সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকে ছিল অনুব্রত মণ্ডলের একটি সভা। উভয় সভা থেকেই একে অপরের বিরুদ্ধে কটাক্ষ সমালোচনা শুনতে পাওয়া গেল।

বোলপুরে সভা থেকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ যেমন রাজ্য সরকার এবং তৃণমূলের তীব্র সমালোচনা করেন ঠিক তেমনি সিউড়ি দু নম্বর ব্লকের সভা থেকে বীরভূম তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলও বিজেপি তীব্র সমালোচনা করেন।

বীরভূমে রথযাত্রার প্রসঙ্গে অনুব্রত মন্ডল কটাক্ষ করে বলেন, রথযাত্রার দিন বাজবে খোল করতাল, খঞ্জনি। অপর দিকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ  রথযাত্রা নিয়ে তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন,  “দিদির ভাইয়েরা বলছে রথ আটকাবে, আসলে ওরা ভয় পেয়েছে। তৃণমূল থেকে যারা বিজেপিতে আসছে আগে তাদেরকে আটকে দেখান।”

রথ প্রসঙ্গে দিন সিপিএম কেউ কটাক্ষ করতে ছাড়েননি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন সিপিএম বলছে রথ আটকাবে। “কুঁজোর আবার চিত হয়ে শোবার শখ”। আসুক না রথের সামনে, কাদা করে রথ আটকাবে তো! কাদার উপর শুইয়ে তার উপর দিয়ে রথ চালাবো।

দিলীপ ঘোষের এই বক্তব্যের প্রত্যুত্তরে বীরভূম তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল কটাক্ষ করে বলেন, “এই রথ কিসের রথ, এত দাঙ্গার রথ। রথ বের হয় আষাঢ় মাসে, এখন তো রথ বেরোই না । এই রথ মৃত্যুর রথ। এই রথ বিজেপির মৃত্যুর রথ। তাই একই দিনে আমাদের খোল করতাল থাকবে। মানুষ যখন মারা যায় সামনে থাকে খোল কীর্তন, পিছনে রথের সাজিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। পিছনে রথ, সামনে খোল কীর্তন – বলো হরি হরি বোল।

error: Content is protected !!