নাম আলাদা, ব্যাঙ্ক একাউন্ট নম্বর এক ! আশ্চর্য ঘটনা এই জেলাতে

অয়ন মজুমদার(কৈলাশহর) কৈলাশহর টিলাবাজার গ্রামীন ব্যাঙ্কের শাখায় ঘটে গেলো এক তুঘলকি কান্ড । যা পড়ার পর দর্শকদের চোখ কপালে উঠে যাবে এটা প্রায় একপ্রকার নিশ্চিত। দুই ছাত্রীর নাম এক কিন্তু ঠিকানা আর বাবার নাম আলাদা। নাম হেনা  বেগম। আর এই নাম এক হওয়ায় কারনের জন্য যত বিপত্তি। স্ট্রাইপেন্ড এর টাকা পাওয়ার জন্য কৈলাশহর উত্তরাঞ্চল মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর ছাত্রী হেনা বেগম ২০১৩ সালে ও দশম শ্রেণির ছাত্রী হেনা বেগম ২০১৪  টিলাবাজার গ্রামীন ব্যাঙ্কের শাখায় দুটি আলাদা ব্যাঙ্ক একাউন্ট খোলে। একাউন্ট খোলার সময় তারা সমস্ত ডকুমেন্টস ব্যাঙ্কে জমা দিয়েছিলো। এবং ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে তাদের পাসবই দেওয়া হয়েছিলো । এতদিন পর্যন্ত সমস্ত কিছু ঠিকঠাক চলছিলো । নিয়মিত তারা ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলেছিলেন,জমা করছিলেন সব কিছুই ঠিকঠাক চলছিলো ।

ব্যাঙ্ক ম্যানেজার পার্থ বনিক

কিন্তু সম্প্রতি দেখা গেলো বিপত্তি।  বেশ কিছুদিন ধরেই ওই দুটি ব্যাঙ্ক একাউন্টে দেখা দিয়েছে নানা গোলমাল। নবম শ্রেনীর ছাত্রী হেনা বেগমের অভিযোগ যে কিছুদিন আগে ওই ব্যাঙ্কে টাকা তুলতে গেলে তিনি জানতে পারেন যে তার একাউন্টে কোন টাকা নেই এবং তার একাউন্ট থেকে টাকা উঠানো হয়েছে।  ঘটনার পর ওই ছাত্রী বাড়ি গিয়ে পুরো ঘটনা অভিভাবকদের জানান। প্রথমে তারা বিশ্বাস করতে না চাইলেও পরবর্তী সময়ে ব্যাঙ্কে এসে তারা জানতে পারেন যে হেনা বেগমের একাউন্ট থেকে টাকা তোলা হয়েছে। আর সব থেকে আশ্চর্যের ঘটনা দুই ছাত্রীর আলাদা আলাদা অর্থ বৎসরে ব্যাঙ্ক একাউন্ট খোলা হলেও দুজনের ব্যাঙ্ক একাউন্টের নাম্বার একই(৮০৮৯০১১৮৪১৪৩১)। শুধু তাই নয় এর পরের ঘটনা আরও আশ্চর্যজনক। নবম শ্রেনীর ছাত্রী হেনা বেগমের আঁধার কার্ডের নম্বর দশম শ্রেনীর ছাত্রী হেনা বেগমের একাউন্টে লিঙ্ক করা হয়েছে। দশম শ্রেনীর ছাত্রী হেনা বেগমের ক্ষেত্রেও ঠিক একই ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন ওই ছাত্রী। এই ঘটনার পর দুটি ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে ব্যাঙ্কে যোগাযোগ করা হলেও ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে দুই ছাত্রীকে কোনরকমের সাহায্য করা হচ্ছেনা বলে অভিযোগ করেছেন দুই ছাত্রীর পরিবার। তাদের আরও অভিযোগ এই ঘটনার পর ব্যাঙ্কের ম্যানেজার পার্থ বনিকের শরণাপন্ন হলেও কোন লাভ হচ্ছেনা। ব্যাঙ্ক একেউন্ট ঠিক করার জন্য একের পর এক তারিখ দিচ্ছেন পার্থ বাবু, এমনটাই অভিযোগ। যদিও ক্যামেরার সামনে কোন কথা বলতে রাজি হননি তিনি। দুই ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ যে সমস্যার সমাধানের জন্য ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের কাছে গেলে তিনি খুব দুর্ব্যবহার করছেন। সমস্যা সমাধান না হওয়ায় চুড়ান্ত সমস্যার মুখে পড়েছেন দুই ছাত্রী ও তার পরিবার। কিন্তু কিভাবে তাদের একাউন্ট নাম্বার এক হলো, একজনের একাউন্টে অন্য জনের আঁধার কার্ডের লিঙ্ক? এই সব ঘটনাই এখন ভাবিয়ে তুলছে জনমনে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here