গৌতম পাল(রায়গঞ্জ) পুজো একেবারে দোরগোড়ায়। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যাস্ত শহর থেকে জেলার সমস্ত পুজোমন্ডপ গুলির কর্মকর্তারা । বেশ কিছু বছর ধরে কলকাতার পুজো থেকে কোন অংশে পিছিয়ে নেই শহরতলী থেকে শুরু করে জেলার পুজো মন্ডপ গুলি। শহর কলকাতাকে রীতিমত টেক্কা দিচ্ছে জেলা । উত্তর থেকে দক্ষিন সমস্ত জেলায় পুজো মন্ডপে এখন থিমের ছড়াছড়ি । প্রতি বছরের মত এবছরও একই চিত্র দেখা যাচ্ছে জেলা জুড়ে। অনান্য জেলায় থেকে কোন অংশে পিছিয়ে নেই উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ।
এবারের দূর্গাপুজোয় পরীর দেশে যেতে গেলে অবশ্যই আসতে হবে রায়গঞ্জের চৈতালী ক্লাবের পুজো মন্ডপে। সাদা তুলো, উল, রেমন্ড আর ফাইবার দিয়ে আস্ত একটি পরীর মহল তৈরি করা হয়েছে পুজো মন্ডপটি। থাকবে রঙিন আলোর খেলা। মন্ডপ পরিবেশ জুড়ে থাকছে এক অদ্ভুত মায়াবী পরিবেশ। মালদা জেলার শিল্পীর হাতে তৈরি তুলো আর উলের এই পুজো মন্ডপটিতে ফাইবারের পরী আর পেঁচার আনাগোনা। চৈতালী ক্লাবের পুজোয় প্রতিমাতে বরাবরই চমক থাকে। এবারেও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। সপরিবারে দেবী দূর্গার সাথে সাথে প্রতিমার মাধ্যমে তুলে ধরা হয়ে সুরাসুরের সমুদ্র মন্থনের দৃশ্য।
পাশাপাশি আলোক সজ্জাতেও থাকছে চমক। চন্দননগরের সুদৃশ্য ডিজিটাল আলোকসজ্জা এবার দেখা যাবে চৈতালি ক্লাবের পুজো মন্ডপে। এখন শুধু এটাই দেখার যে চৈতালী ক্লাব পুজোর দিন গুলিতে কত দর্শক টানতে পারেন।