রাজ্যে আসছেন বিদেশিনী রাজকন্যা, প্রতীক্ষায় শৈবতীর্থ

অয়ন মজুমদার (কৈলাসহর): সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২৭শে নভেম্বর পার্বতী রাজ, ত্রিপুরার কৈলাসহরে পা রাখতে চলেছেন থাইল্যান্ডের রাজকন্যা মহাচক্রী সিরিনধরন। কৈলাসহরে তার মূল উদ্দেশ্য শৈবতীর্থ ঊনকোটি দর্শন। তিনি যেসব জায়গায় ভ্রমণ করবেন সেইসব স্থানে চরম ব্যস্ততা দেখা যাচ্ছে। জেলাশাসক অফিসে ঘন ঘন বৈঠক হচ্ছে।দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকেরা সমস্ত আয়োজন খতিয়ে দেখছেন।

থাই রাজকন্যা ভারতে আসবেন ২৫সে নভেম্বর এবং ত্রিপুরা ভ্রমণে আসবেন ২৭শে নভেম্বর। আগরতলা বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে করে সরাসরি পৌঁছবেন কৈলাসহর বিমানবন্দর। গত জুন মাসে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয় এই বিমানবন্দর, তাই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বিমানবন্দর সংস্কারের কাজ চলছে। রাজকন্যার সফরসূচি সম্পর্কে সরকারি তথ্য সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়নি। তবে তার ভ্রমনস্থানে চলছে রাস্তাঘাট সংস্কার ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার পাশাপাশি ব্যারিকেডও দেওয়া হচ্ছে।

এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, থাই রাজকন্যার এই ত্রিপুরা সফরের জন্য গত ৯ই সেপ্টেম্বর থাই দূতাবাসের এক প্রতিনিধি দল ভ্রমণস্থানগুলি পর্যবেক্ষণ করে যান। ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের পৌরোহিত্য সচিবালয়ে ১৫ই নভেম্বর এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ঊনকোটিসহ রাজ্যের অন্যান্ন স্থানে রাজকন্যার সফরসঙ্গী হবেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।

থাইল্যান্ডের রাজকন্যার সফর ঘিরে ঊনকোটি জেলা জুড়ে প্রবল উৎসাহ দেখা দিচ্ছে। রাজ্যে ক্ষমতা পালাবদলের পর নবগঠিত বিজেপি সরকার রাজ্যের পর্যটনকে জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করছে। থাই রাজকন্যার এই সফর রাজ্য সরকারের উদ্যোগকে বাড়তি অক্সিজেন দেবে নিঃসন্দেহে।

লোক চক্ষুর অন্তরালে অবহেলিত, অনাদৃত চিররহস্যেমোড়া ঊনকোটি শৈবতীর্থের হয়তো আরো বেশি করে প্রচারিত হবে গোটা বিশ্বে। কারণ সারাবছর ধরে বহু পর্যটক ঊনকোটি ভ্রমণে আসলেও বিদেশের কোনো সর্বোচ্চ ক্ষমতা শিবিরের প্রতিনিধি এই প্রথম পদার্পন করতে চলেছেন ঊনকোটিতে।

error: Content is protected !!