ত্রিপুরার মাটিতে জোড়াফুল ফোটানোর দায়িত্ব এবার ফিরহাদের কাঁধে

আগরতলাঃ বছর ঘুরলেই ঢাকে কাঠি পড়বে লোকসভা নির্বাচনের। এবারের নির্বাচনে ক্ষমতা থেকে বিজেপিকে উৎখাত করতে এখন থেকেই কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে পড়েছে তৃনমূল-কংগ্রেস। ২০১৯ সালে বিজেপিকে সরাতে ইতিমধ্যেই বিজেপি বিরোধী সমস্ত দলগুলিকে নিয়ে মহাজোটের লক্ষ্যে এগোচ্ছেন তৃনমূল-কংগ্রেস সুপ্রিমো।

পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও অনান্য রাজ্যে আগামী লোকসভা নির্বাচনে অনান্য রাজ্য থেকেও তৃনমূল-কংগ্রেস প্রার্থীদের জেতাতে এখন থেকেই সেই সমস্ত রাজ্যে প্রচারে নামতে চাইছে জোড়া ফুল। বাংলার পর তৃনমূলের টার্গেট ত্রিপুরা। তাই সব্যসাচী দত্তকে সরিয়ে ফিরহাদ হাকিমের হাতে তুলে দেওয়া হলো ত্রিপুরার দায়িত্ব। ইতিমধ্যেই সেই কথা ত্রিপুরার তৃনমূল-কংগ্রেস সভাপতি আশিস লাল সিং কে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফিরহাদ হাকিমের হাতে ত্রিপুরার দায়িত্ব ছাড়াও রয়েছে অসমের দায়িত্ব।

২০১৬ সালে ত্রিপুরায় নিজেদের মাটি শক্ত করেছিলো তৃনমূল-কংগ্রেস। সুদীপ রায় বর্মনের নেতৃত্বে ৬ জন বিধায়ক কংগ্রেস ছেড়ে তৃনমূল-কংগ্রেস যোগদান করেছিলেন। সেই বছর ৯ আগস্ট রাজধানীর আস্তাবল ময়দানে সভা করেছিলেন মমতা বন্ধোপাধ্যায়। কিন্তু সে সব আজ অতীত। সব হারিয়ে তৃনমূল-কংগ্রেস আজ রাজ্যে সাইনবোর্ডে পরিনত হয়েছে। ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে নোটার থেকেও কম ভোট পড়েছে তৃনমূলে। সেখান থেকে রাজ্যে ঘাসফুলের জায়গা পুনরুদ্ধার করতে কোমর বেঁধে নামতে চাইছে তৃণমূল-কংগ্রেস। কালীপুজোয় অন্যদের মতো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন ত্রিপুরায় তৃণমূলের সভাপতি আশিসলাল সিনহা । সেই সময় সেখানে ছিলেন ফিরহাদ হাকিমও । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিদ্ধান্ত জানান তখনই। এরপরেই ডাকবার্তার প্রতিনিধি কলকাতায় যোগাযোগ করেছিলেন ত্রিপুরার তৃনমূল-কংগ্রেস সভাপতি আশিস লাল সিং এর সাথে। তিনি জানিয়েছেন যে, “সদ্য ফিরহাদ হাকিমের হাতে ত্রিপুরার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে। কিছু দিনের মধ্যেই তিনি রাজ্যে এসে সভা করবেন”। এখন এটাই দেখার যে আগামী লোকসভা নির্বাচনে তৃনমূল-কংগ্রেস রাজ্যে কতটা ভালো ফল করতে পারে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here