ধর্ষণ করে পরিচারিকাকে খুন, ঐতিহাসিক রায় আদালতের

সৌমাল্য ব্যানার্জি(তমলুক)  পরিচারিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অপরাধে মৃত্যুদণ্ড হল গৃহকর্তার । শুক্রবার তমলুক জেলার দ্বিতীয় অতিরিক্ত দায়রা আদালতে এই রায় ঘোষনা করেন বিচারক সঞ্চিতা সরকার ।

২০১৬ সালে ৮ আগষ্ট হলদিয়ার টাউনশিপে ঠিকাদার কর্মী সুমন্ত তুঙ্গ তার বাড়ির নাবালিকা পরিচারিকা পিয়া পাত্রকে ধর্ষণ করে খুন করে । পিয়ার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে হলদিয়া থানার পুলিশ সুমন্ত তুঙ্গকে গ্রেফতার করে। সেই থেকেই জেলে ছিল সে।

বৃহস্পতিবার বিচারক সুমন্ত তুঙ্গকে দোষী সাবস্ত করে। শুক্রবার বিচারক মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেন পাশাপাশি পিয়ার পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতি পূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেন। পিয়ার তিন বোন এক ভাই। খুবই দরিদ্র পরিবারের তাই পরিচারিকার কাজ করতো পিয়া আর তার মা মিনা পাত্র। পিয়া কাজ করতো সুমন্ত তুঙ্গের বাড়িতে। মৃত্যুর চার মাস আগে থেকেই মাকে ঐ বাড়িতে কাজ করবে না বলে জানিয়েছিল পিয়া।

মা মিনা দেবী বলেছিলে একটু কটা দিন কাটিয়ে দিতে অন্য বাড়িতে কাজের ব্যবস্থা করে দেবে। কিন্তু ৮ আগষ্ট দুপুরে হঠাৎই খবর আসে পিয়া অসুস্থ। পিয়ার পরিবার গিয়ে দেখে সুমন্ত বাবুর বাড়ির বাথরুমে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে । পরিবারের তরফে খুন করা হয়েছে অভিযোগ করা হয়।

মেয়ের ধর্ষণকারীর মৃত্যুদণ্ড হওয়ায় খুশি মা মিনা দেবী। তিনি বলেন, সব ধর্ষনকারীর যেন এই ভাবে শাস্তি হয়। সরকারি পক্ষের উকিল আব্দুল মহিদ বলেন, পিয়াকে গলা টিপে খুন করে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগায় । বিচারক আজ শাস্তি ঘোষনা করেছে এবং মৃতের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতি পূরণ দেওয়ার ঘোষনা করে।

error: Content is protected !!