কার অকর্মণ্যতায় পাস বিভ্রাট?

স্টাফ রিপোর্টার(আগরতলা) দীর্ঘ প্রায় কয়েকবছর পর “ষষ্ট নর্থ ইষ্ট ইয়ুথ ফেস্টিভ্যাল”কে কেন্দ্র করে আনন্দে মেতে উঠতে চলেছে শহরবাসী । সম্ভবত এই প্রথম ত্রিপুরা রাজ্যে এতবড় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সৌজন্যে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের নেতৃত্বে নতুন রাজ্য সরকার। রাজ্যসরকারের ক্রিয়া দপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত এতবড় অনুষ্ঠান ইতিমধ্যেই প্রশংসা কুঁড়িয়েছে রাজ্যবাসীর ।  কিন্তু সেই ক্রিয়াদফতরের দায়িত্বজ্ঞানহীন কর্তব্যের জন্য সমলোচনায় ঝড় বইছে তাদের উপর দিয়ে।   ১৮ নভেম্বর রাজধানীর স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে অনুষ্ঠান করবেন দেশের অন্যতম বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী অলকা ইয়াগনি। সেই অনুষ্ঠানের  প্রবেশপত্রকে কেন্দ্র করেই তৈরি হয়েছে বিশৃঙ্খলা। সূত্রের খবর যে ওইদিনের অনুষ্ঠানের প্রবেশপথ জাল করে রীতিমত মোটা অঙ্কের টাকায় খোলা বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই সেই অভিযোগ এসে পৌঁছেছে রাজ্যের ক্রিয়া দফতরে। যদিও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এখনও এই বিষয়টি নিয়ে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে সূত্র মারফত খবর।

   ১৮ নভেম্বর অলকা ইয়াগনির অনুষ্ঠানের দিন রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে যে প্রবেশপত্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে তাতে সরকারের পক্ষ থেকে কোন সিল নেই। একটি মাত্র স্টিকার লাগানো হয়েছে পাসের মধ্যে। কিন্তু সেই স্টিকারও কালার জেরস্ক। ইতিমধ্যেই জানা গেছে পাসটিলকে কালার জেরস্ক করে শুধুমাত্র স্টিকারটি কেটে নিয়ে নকল পাসের মধ্যে লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর তখনি বোঝা যাচ্ছেনা কোনটা আসল আর কোনটা নকল পাস।

অনেকে অভিযোগ জানিয়েছেন যে, ভগত সিং যুব আবাস থেকে আসল পাস নিয়ে জেরস্ক করে বিক্রি করছেন। ইতিমধ্যেই কয়েকহাজার নকল পাস মানুষের কাছে পৌঁছে গেছে। শুধু ১৮ নভেম্বরের অনুষ্ঠান নয় ১৬ নভেম্বরের অনুষ্ঠানের দিনের পাসও জাল করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ১৬ ও ১৮ নভেম্বর অনুষ্ঠান সফল করার জন্য একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্যের ক্রিয়া ও যুবকল্যান দফতর।

দর্শকদের ভিড় সামলাতে রাজধানীর তিনটি থানাকেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই মোতায়েন করা হয়েছে কয়েকহাজার পুলিশ ও টিএসআর বাহিনীর। কিন্তু অনুষ্ঠানে প্রবেশপত্রের জন্য পাস আতঙ্কে এখন ভুগছে অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তারা।

সংবাদমাধ্যমের সামনে বা প্রকাশ্যে কিছু না বললেও পাস বিভ্রাট নিয়ে এখন যথেষ্ট চিন্তায় উদ্যোক্তারা। যদিও নকল পাস নিয়ে ক্রিয়া মন্ত্রী বা তাঁর দফতরের কারো কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। আসল পাস আর নকল পাস দুটি দেখতে প্রায় একইরকম। তাই উদ্যোক্তারা কাকে অনুষ্ঠানে প্রবেশ করতে দেবে সেটাই এখন সব থেকে বড় প্রশ্ন।

কিন্তু এই পাস বিভ্রাটের দায় কার? কাদের দায়িত্বজ্ঞানহীন কর্তবের জন্য এই ঘটনা ঘটলো? অনুষ্ঠান শেষ হয়ে যাওয়ার পর কি পাস বিভ্রাট নিয়ে কোন কড়া ব্যবস্থা নেবেন ক্রিয়ামন্ত্রী? এই ঘটনায় যারা যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে কি আদেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হবে? না কি সব কিছুই ধামাচাপা পড়ে যাবে? সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।

error: Content is protected !!