বেঙ্গালুরুঃ কর্ণাটক কি হাতছাড়া হতে চলেছে কংগ্রেসের? এমনটাই কিন্তু জল্পনা দেখা দিয়েছে বেশ কিছুদিন ধরেই। দক্ষিনের রাজ্য কর্ণাটকে এখন বেসামাল কংগ্রেস-জেডিইউ জোট সরকার। ইতিমধ্যেই ইস্তফা দিয়েছেন জোট সরকারের ১৩ জন বিধায়ক। আর তারপর থেকেই রীতিমত কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন কুমারস্বামী। বিধায়কদের ইস্তফার পর এতটাই কোণঠাসা যে তড়িঘড়ি আমেরিকা থেকে বেঙ্গালুরু ফিরেই কংগ্রেস বিধায়ক রামলিঙ্গ রেড্ডির সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছেন তিনি। এমনটাই খবর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম সূত্রে।
অপর দিকে কুমারস্বামীকে রীতিমত চাপে ফেলে দিয়েছেন ১৩ জন বিক্ষুদ্ধ বিধায়ক। রবিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে বিক্ষুব্ধ বিধায়ক এস টি সোমশেখর জানান, যে ১৩ জন বিধায়ক পদত্যাগ করেছেন, তাঁদের পদত্যাগ প্রত্যাহারের প্রশ্নই নেই। মঙ্গলবার কংগ্রেসের সংসদীয় বৈঠকে তাঁরা উপস্থিত থাকবেন না বলেও জানিয়ে দেন সোমশেখর।
এরপরেই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সোমবার সকালে ৮টায় কংগ্রেস নেতা ডিকে শিবকুমার এবং বেনুগোপালের সঙ্গে ‘রুদ্ধদ্বার বৈঠক’ করেন কুমারস্বামী । আর এই বৈঠক অনেকটা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনুমান, রাজ্যের রাজনৈতিক সংকটের মোকাবিলায় এবং একই সঙ্গে বিজেপিকে ঠেকাতে কৌশল নির্ধারণের জন্যই এই বৈঠক হয়। এই বৈঠকে মন্ত্রীসভায় রদবদলের প্রসঙ্গেও আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই বৈঠকের পর দেবগৌড়ার সঙ্গেও দেখা করেন কুমারস্বামী।
একসঙ্গে জোট সরকারের ১৩ জন বিধায়ক ইস্তফা দেওয়ায় এই মুহূর্তে ২২৪ আসনের বিধানসভায় জেডিএস-কংগ্রেস জোট এবং বিজেপি— দু’পক্ষেরই মোট আসন সংখ্যা ১০৫। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস বা জেডিএস থেকে আরও বিধায়ক ইস্তফা দিলে কর্নাটকে সরকার গড়ার দরজা খুলে যাবে বিজেপির জন্য। ১২ জুলাই কর্নাটক বিধানসভার পরবর্তী অধিবেশন। রাজ্যে জোট সরকার থাকবে, নাকি বিজেবি নতুন সরকার গড়বে— এ দিনেই বিষয়টা আরও স্পষ্ট হয়ে যাবে।