অষ্টমীর রাতে জনসমুদ্র শহর, একে অপরকে টেক্কা উত্তর দক্ষিনের

কলকাতাঃ মহাঅষ্টমীর সন্ধ্যায় জনপ্লাবন নামলো তিলোত্তমার রাজপথে । রাত পোহালেই নবমী । পুজোর বাকি আর মাত্র একটা দিন।তাই অষ্টমীর সন্ধ্যায় আনন্দে মাততে প্রস্তুত বাঙালী। সন্ধ্যা পেড়িয়ে রাত যত বাড়ছে ততই জনপ্লাবন দেখা যাচ্ছে শহরের উত্তর থেকে দক্ষিন পূর্ব থেকে পশ্চিমের পুজো মন্ডপ গুলিতে। উত্তর কলকাতার পুজো মানেই সাবেকিয়ানা। আর দক্ষিন কলকাতার পুজো বললেই মনে পড়ে থিমের ছড়াছড়ি।

কয়েকবছর আগেও বাঙালীর পুজো শুরু হতো ষষ্ঠীর দিন থেকে । কিন্তু সময় পাল্টেছে । আজ আর ষষ্ঠী থেকে নয় মহালয়ার পরের দিন থেকেই পুজো দেখতে বেড়িয়ে পড়েন শহরবাসী। উদ্বোধনের ধূম পড়ে যায় মহালয়ার দিন থেকেই। এবারও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। প্রথমা থেকেই মন্ডপে ভিড় দেখা গেছে দর্শনার্থীদের।

কিন্তু অষ্টমী একদম আলাদা। এই দিনটির জন্য সারা বছর অপেক্ষা করে থাকে বাঙালী। অষ্টমীর সকালে অঞ্জলি দেওয়ার পরেই প্যান্ডেল হপিং এ বেড়িয়ে পড়েন আট থেকে আশি সকল অংশের মানুষ।

দুপুর থেকে শহর তিলোত্তমায় সেই  ভিড়টা চোখে পড়ছিলো। কিন্তু রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যেন জনসমুদ্রের রুপ নিলো শহর কলকাতা। উত্তরে বাগপবাজার সার্বজনীন,কুমারটুলি পার্ক থেকে শুরু করে কলেজ স্কোয়ার, সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো মন্ডপ দেখতে ঢল নেমেছে মানুষের।

উত্তর কলকাতা না দক্ষিন কলকাতা অষ্টমীর সন্ধ্যায়  কে কাকে টেক্কা দেয় এই নিয়েও চলছে চুলচেরা বিশ্লেশন। বেলা গড়াতেই দক্ষিনের একডালিয়া,সিংহি পার্ক,সুরচি সংঘ,চেতলা অগ্রনীতে জনরোষ চোখে পড়ছে দর্শনার্থীদের। রাত যত বাড়বে এই ভিড় আরও বাড়বে তা এখন থেকে বলে দেওয়া এক প্রকাশ নিশ্চিত। দর্শনার্থীদের ভিড় সামলাতে ঢেলে সাজানো হয়েছে শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। রয়েছে সাদা পোষাকে পুলিশ। গাড়ি চলাচলের উপর নিয়ন্ত্রন রাখতে ট্রাফিক ব্যবস্থাও সুন্দর করা হয়েছে। সর্বদা চলছে নজরদারী। ওয়াচটাওয়ারের মাধ্যমে চারিদিকে নজর রাখছে কলকাতা পুলিশ।

error: Content is protected !!