শুরু দেবী পক্ষ ! তর্পনের উদ্যেশ্যে ভিড় রাজধানীর লক্ষ্মী নারায়ন বাড়িতে

 আগরতলাঃ বাজলো তোমার আলোর বেণু, মাতলো যে ভুবন
আজ প্রভাতে সে সুর শুনে খুলে দিনু মন।।

অন্তরে যা লুকিয়ে রাজে
অরুণবীণায় সে সুর বাজে—
এই আনন্দযজ্ঞে সবার মধুর আমন্ত্রন।

 পঙ্কজকুমার  মল্লিকের সুরে সুপ্রীতি ঘোষের গাওয়া এই গানটি আজ আকাশে বাতাসে ধ্বনিত হচ্ছে।  আজ মহালয়া। পিতৃ পক্ষের অবসান মাতৃ পক্ষের সূচনা। আজ মর্ত্যে প্রবেশ করবেন মা দুর্গা। আজ ষষ্টি দিন মায়ের বোধন হলেও আজ থেকেই শুরু হয়ে গেছে বাঙালীর পুজো।  ভোরে বীরেন্দ্র কিশোর ভদ্রের গলায় মহিষাসুরমর্দিনী দিয়ে দিন শুরু হল বাঙালীর। তারপর গঙ্গার ঘাটে গিয়ে পিতৃপুরুষের উদ্যেশ্যে জলদান যাকে আমরা বলে থাকি তর্পণ। অনান্য রাজ্যের তুলনায় রাজধানী আগরতলার লক্ষ্মী নারায়ন বাড়িতে ভোর থেকেই তর্পণের উদ্যেশ্যে জড়ো হয়েছিলো মানুষ। পুরোহিতের মন্ত্রউচ্চারনে সকাল থেকেই লক্ষ্মী নারায়ন বাড়ির ঘাটে তর্পণ করেন সাধারন মানুষ। শুধু তর্পন করাই নয় মহালয়ার সকালে রাজধানীর লক্ষ্মী নারায়ন বাড়িতে ভিড় জমিয়েছিলেন আট থেকে আশি সকলেই। কেউ বা পরিবারের সঙ্গে কেউ কেউ আবার দল বেঁধে বন্ধু-বান্ধব নিয়েই হাজির হয়ে গিয়েছিলেন মহালয়ার আনন্দে মেতে উঠতে।  রাজধানীতে লক্ষ্মী নারায়ন বাড়ির ঘাট ছাড়াও বেশ কয়েকটি ছোট ছোট  ঘাটেও সকাল থেকে তর্পন করতে আসেন অনেকেই। যদিও সব থেকে বেশি ভিড় লক্ষ করা গেছে লক্ষ্মী নারায়ন বাড়িতে। তর্পন উপলক্ষে জোরদার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিলো লক্ষ্মী নারায়ন বাড়ি সহ শহরের বেশ কয়েকটি ঘাটে। কোথাও যাতে কোন নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয় তার জন্য শহরের রাজপথে টহল দিচ্ছিলো পুলিশ ভ্যান। পাশাপাশি রাস্তায় যাতে কোন ধরনের যানজটের সমস্যা না দেখা দেয় তার জন্য সচেষ্ট ছিলেন ট্রাফিক পুলিশের আধিকারিকরা। আর সব শেষে একটাই কথা বলতে হয় যে মা দুর্গার বোধন ষষ্টিতে হলেও মহালয়া থেকেই উৎসব মাতোয়ারা রাজধানী আগরতলা সহ ত্রিপুরা রাজ্যের মানুষ।

error: Content is protected !!