কল্যাণ অধিকারী, হাওড়াঃ শনিবার এসএসকেএমে মারা গেলেন নবান্নের সামনে গায়ে আগুন লাগানো হাওড়ার যুবক বাপন সাহা। শরীরের অনেকটা অংশ পুড়ে গিয়েছিল। প্রথমে আন্দুলের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ও পরে এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়া হলে শেষ রক্ষা হয় নি। শনিবার ভোর রাতে মারা যান তিনি।
বেকারত্বের মানসিক চাপ নাকি বাড়ির পাশে বহুতলের সীমানা দেওয়া নিয়ে প্রোমোটার-এর চাপ সহ্য করতে না পারা। শুক্রবার বিকেলে নবান্নের কাছে চলে আসেন। কাউকে কিছু বুঝতে না দিয়ে নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় বাপন সাহা। হাওড়া সালকিয়া ত্রিপুরা লেনের বাসিন্দা। বছর একচল্লিশের যুবককে আগুনে ছটফট করতে দেখে ছুটে আসে পুলিশ কর্মীরা। জ্বলতে থাকা আগুনের সামনে কোনক্রমে জল দিয়ে নেভানোর চেষ্টা করে। কিছু সময় পরে নেভানো হয় আগুন।
তারপর নিয়ে যাওয়া হয় আন্দুল এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। পরে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় স্থানান্তর করে কলকাতায় এসেএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাওড়া ত্রিপুরা লেনে রয়েছে স্ত্রী ও বছর খানেকের এক শিশু পুত্র এবং বাবা। মানসিক চাপ থাকলেও সরাসরি নবান্নে চলে আসার কারণ বুঝে উঠতে পারেনি পুলিশ ও স্থানীয়রা। সালকিয়ার বাড়ি থেকে নবান্ন প্রায় ৮ কিমি পথ। এতটা পথ চলে আসায় পরিবারের কাছেও ভাবনার বিষয়।