বিষণ্ণতার মাঝেই পরের বছরের পুজোর দিনগোনা শুরু বাঙালীর

ডাকবার্তা কলকাতা ডেস্কঃ  দেখতে দেখতে আবার চলে এলো সেই দিন । মা কে বিদায় জানানোর দিন। কিন্তু মন চায়না মা কে বিদায় জানাতে। একটা বছর অপেক্ষার পর ৫দিনের জন্য মা তার চার সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়ি আসেন। কিন্তু কিভাবে যে এই কটা দিন কেটে যায় তা সত্যি বোঝা বড় দায়। এখন মহালয়ার পর থেকেই পুজো শুরু হয়ে যায় বাঙালীর। এই কটা দিন আনন্দেমুখর হয়ে থাকে সবাই। কিন্তু দশমীর দিনটা আসলেই যেন মুখ ভার হয়ে যায় সবার। মনের মধ্যে দেখা যায় বিষণ্ণতা। কিন্ত মা কে তো ছাড়তেই হবে। মন না চাইলেও আজ মা পাড়ি দেবেন কৈলাসে।

দশমীর সকাল থেকেই কলকাতার বিভিন্ন বনেদি বাড়ি থেকে শুরু করে পুজো মণ্ডপ গুলিতে শেষ হয়েছে দশমী পুজো। দর্পণ বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে মায়ের বিসর্জন সম্পন্ন হয়েছে। তারপরেই শুরু হয়েছে মা কে বরন করে নেওয়ার পালা। শোভাবাজার রাজবাড়ি, বাগবাজার সর্বজনীন থেকে শুরু করে দক্ষিনের সাবর্ণ রায় চৌধুরীর বাড়ি,মল্লিক বাড়িতে  মা কে বরন করে নিচ্ছেন বাড়ির সদস্যরা। বরনের পর মহিলারা মেতে উঠেছেন সিঁদুর খেলায় ।

সিঁদুর খেলার কথা বললেই মনে পড়ে যায় শোভাবাজার রাজবাড়ি ও বাগবাজার সর্বজনীন এর কথা ।  শুধু পাড়ায় মহিলা বা পরিবারের সদস্যরা নয় উত্তরের এই দুই জায়গায় সিঁদুর খেলতে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসেন মহিলারা।  দশমীর সকালে বাগবাজার সর্বজনীনে প্রতিমাকে বরণ করতে চলে আসেন মন্ত্রী শশী পাঁজা। প্রতিমা বরণের পর তিনিও মেতে ওঠেন সিঁদুরখেলায়। মন খারাপের মাঝে  আজ থেকেই শুরু হয়ে গেলো আগামী বছরের পুজোর দিন গোনা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here