ঘরে ঘরে চলছে ধনদেবী কোজাগরী লক্ষ্মীর আরাধনা

পল মৈত্র(দক্ষিন দিনাজপুর)  বুধবার ধন ও ঐশ্বর্যের অধিষ্ঠাত্ৰী দেবী শ্ৰীশ্ৰী লক্ষ্মীদেবীর পুজো ঘরে ঘরে চলছে। প্ৰতি বছরই দুর্গাপুজোর পরপরই লক্ষ্মীদেবীর পুজো হয়ে থাকে।আজ ধন ও ঐশ্বর্যের অধিষ্ঠাত্ৰী দেবী শ্ৰীশ্ৰী লক্ষ্মীদেবীর পুজো। বুধবার লক্ষ্মী পূর্ণিমার শুভলগ্নে প্ৰায় প্ৰতি গৃহস্থের বাড়িতেই চলছে সম্পদ ও ধনদায়িনীর পুজোর আয়োজন। সবে পুজো শেষ হয়েছে। মাসও শেষের পথে। তাই নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো হাত প্ৰায় ফাঁকাই। নুন আনতে পান্তা ফুরোয় এমন সব নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের পকেটে টান পড়াটা খুবই স্বাভাবিক। বাজারে আগুন,তবুও এই দুর্মূল্যের দিনেও প্ৰতিটি পরিবার নিজেদের ক্ষমতা অনু্যায়ী আয়োজন করেছেন লক্ষ্মী পুজোর। আজ সকাল থেকেই বিভিন্ন বাজারে পুজোর উপকরণ ফল,ফুল,ধূপ,দীপ কিনতে খদ্দেররা ভিড় জমান।

বাজারে লক্ষ্মীর মৃন্ময়ী মূর্তি,ছবি ও রকমারি ফুল,বেলপাতা ও অন্যান্য সামগ্ৰীর পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্ৰেতারা। এক একটা ছোট গাঁদা ফুলের মালা বিকোচ্ছে ৪০-৬০ টাকায়। ছোট আকারের মাটির মূর্তি দর ৬০-থেকে ১০০ টাকা। বড় মূর্তির দর তো নিম্ন ও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে। তবু কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো বলে কথা। সাধ্যানুসারে প্ৰত্যেকেই লক্ষ্মী আরাধনায় যৎসামান্য উপকরণাদি ক্ৰয় করেছেন।

এদিন প্ৰতি গৃহস্থের বাড়িতে গৃহবধু,মেয়েরা উপবাস থেকে মায়ের পুজোর আয়োজন করেছেন। আলপনা দিয়ে সাজানো হয়েছে ঘরের মেঝ ও উঠোন। অধিকাংশ বাড়িতে চলছে অন্নভোগের আয়োজনও। বারোয়ারি দুর্গাপুজোর মণ্ডপগুলিতে আয়োজন করা হয়েছে লক্ষ্মীপুজোর। মহানগরীর বেলতলার লক্ষ্মী মন্দিরে এবারও ঘটা করে আয়োজন করা হয়েছে ধনদাত্ৰীর পুজোর। ওদিকে চিরাঙের বিজনিতে ১২ দিনের কর্মসূচিতে লক্ষ্মী পুজো ও মেলা আয়োজন করা হয়েছে। এই পুজোকে কেন্দ্ৰ করে বিজনিতে এখন পুজোর মতোই উৎসবমুখর পরিবেশ। এছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে গৃহস্থের বাড়িতে ও মন্দিরে চলছে লক্ষ্মী পুজোর আয়োজন। সন্ধ্যায় পুজো ঘিরে আলোকময় হয়ে উঠবে প্ৰতি ঘরের অঙ্গন। ঘরে ঘরে আজ মহিলাদের মুখে উচ্চারিত হচ্ছে একই মন্ত্ৰ,‘এসো মা লক্ষ্মী বসো ঘরে,আমারই ঘরে থাকো আলো করে’।

error: Content is protected !!