বাবা মহাদেবের ভক্ত ,উপাস অনেকেই আছেন। এই নিয়মে মেনে শিবের পুজো করলে দারিদ্র থেকে প্রেম, ফিরবে ভাগ্য। তাহলে আসুন দেখে নিই নিয়মগুলো কি কি?
১. বৈবাহিক জীবনে নানারকম সমস্যা! এছাড়াও বিয়ে করতে চাইছেন কিন্তু বাঁধা আসছে একাধিকবার। তাহলে এক কাজ করুন প্রত্যেকদিন কেশর মেশানো দুধ দিন শিবলিঙ্গে। সঙ্গে দেবী পার্বতীরও পুজো করতে ভুলবেন না।
২.সোমবার সোমবার করে আপনাকে বিশেষ একটি কাজ করতো হবে। সেটি হলো মাছকে আটার গুলি খাওয়াতে হবে। আর একটু সময় বার করে ওম নমঃ শিবায় মন্ত্রটিও জপ করে নিন। এতে খারাপ সময় কেটে গিয়ে ভালো সময়ের সূচনা ঘটে।
৩.বেলপাতা পুজোর অপরিহার্য উপাদান। অন্যদিকে পবিত্রও। তাই ২১ টি বেল পাতায় ওম নমঃ শিবায় লিখে তা মহাদেবকে নিবেদন করুন এতে তিনি তুষ্ট হন।
৪.দেবতাকে তুষ্ট করবেন অথচ তার বাহনের দিকে নজর রাখবেন না তা কখনও হয়। তাই শিবকে তুষ্ট করতে গেলে, তার বাহনকেও করতে হবে। সেই প্রসঙ্গেই শিবের বাহন অর্থাৎ নন্দী ষাঁড়কে মহাভোজ দিন। এতেও জীবন থেকে সমস্যা দূর হয়।
৫.জীবে প্রেম করে যেই জন সেই জন সেবিছে ঈশ্বর। আর মহাদেবও লোকের মঙ্গলে বিশ্বাস করেন। তাই সপ্তাহে নির্দিষ্ট একটি দিন দেখে নিজের সামর্থ অনুযায়ী গরিব ভোজন করান।এতে ঘরে কখনও অন্নের অভাব হয় না।
৬. তামার কমণ্ডলুতে জল ভরে তাতে তিল মেশান। এ বার সেই জল শিবলিঙ্গের মাথায় ঢালুন। সঙ্গে শিবমন্ত্র জপ করুন। এতে শনির রোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
৭.আটা দিয়ে ১১টি শিবলিঙ্গ বানান। এ বার সেইগুলি স্নান করান। এতে সন্তানপ্রাপ্তি হয়। এছাড়াও অনেক বাঁধা বিপত্তি এবং সমস্যার অবসান ঘটে।
৮.শিবলিঙ্গে ঘি ঢালুন। তার পরে স্নান করান। এতে সন্তানভাগ্য ভাল হয়। সোমবার বাবার বার তাই এই দিন এই কাজটি করতে পারলে আরও ভালো হয়। আপনার ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে মহাদেবের নজর পরতে পারে আপনার উপর
৯. মহাদেবর মূর্তির সামনে ১১ টি প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখুন। মনে রাখবেন প্রদীপের সলতো গুলো যেন তুলোর হয় আর প্রদীপে অল্প ঘি ঢেলে দেবেন।