আগমনীর সুরের মধ্যেও যেন কিছুটা বিষাদ!

জনি ভট্টাচার্য(কুমারঘাট) শরতের আগমনে শিউলির গন্ধ ভেসে আসছে আকাশে বাতাসে, নদীর ধারে ধারে দোলা দিচ্ছে কাশ ফুল। রিতি মতই চারিদিক থেকে যেন বয়ে আসছে দেবী দূর্গার আগমনী বার্তা। আর মাত্র কয়েকটা দি। তারপরেই শারদউৎসবের আনন্দে গা ভাসাবে রাজ্য এবং বহিঃরাজ্যবাসী। পূজোর প্রাক মুহূর্তে বর্তমানে বহিঃরাজ্য এবং রাজ্যের রাজধানী আগরতলার মৃৎশিল্পীদের মধ্যে ব্যাস্ততা তুঙ্গে। রাজধানীর পাশাপাশি বিভিন্ন মহকুমাগুলোর মূর্তি পাড়াতেও মৃৎ শিল্পীদের মধ্যে মূর্তি নির্মানে চরম ব্যস্ততা লক্ষ করা গেছে। উনকোটি জেলার কুমারঘাট মহকুমার বিভিন্ন মূর্তি পাড়াতেও নাওয়া খাওয়া ছেড়ে মৃৎ শিল্পীরা এখন চরম ব্যাস্ত মূর্তি নির্মানে।

তবে মূল্য বৃদ্ধির বাজারে মূর্তির চাহিদা অন্যান্য বারের তুলনায় অনেকটাই কম,যতটুকুই বা চাহিদা রয়েছে তাতেও দ্রব্য সামগ্রীর আকাশ ছোঁয়া মূল্য বৃদ্ধির ফলে লাভের মুখ তেমন দেখছেননা তারা  এমনটাই জানিয়েছেন রাজনগর গ্রামের এক মৃৎশিল্পী সন্দীপ রুদ্রপাল।
অন্যদিকে কুমারঘাটের অপর এক মৃৎ শিল্পী স্বপন কুমার দাস নিজ প্রতিক্রিয়ায় জানান উনি বিগত ৪০ বছর ধরে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। আগে ভালো অর্থ উপার্যন করতে পারতেন কিন্তু এবছর বাজারের হাল খুবই খারাপ।  তাছাড়া বিগত বন্যায় অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে, বন্যার জলে তলিয়ে গেছে উনার অনেক মূর্তি। কিন্তু সরকারী তরফে মেলেনি কোন সহায়তা। তাই এইবছর লাভের মুখ দেখতে হিমসিম খেতে হচ্ছে তাদের।

বর্তমানে তিনি চাইছেন সরকার সাহায্যের হাত প্রসারিত করুক মৃৎশিল্পীদের প্রতি।
মন্দা বাজারের মাঝে সব মিলিয়ে কুমারঘাটের মৃৎ শিল্পীরা বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে বর্তমানে তাদের মূর্ত্তী তৈরীর কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন কিন্তু আশানুরূপ মিলছেনা মূল্য।তাই সরকারী সহায়তা প্রাপ্তির দাবি উঠছে সাধারনের থেকে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here