ত্রিপুরার অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে একাধিক উদ্যোগ রাজ্য সরকারের

ত্রিপুরার অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে একাধিক উদ্যোগ রাজ্য সরকারের

এক্সপেন্ডিচার ইকোনমাইজ করার জন্য সমস্ত জিনিস ক্রয় করার ক্ষেত্রে সরকারি ই-মার্কেটপ্লেসকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। যদি কোনো কারণে সেই সমস্ত জিনিস ‘জেম’ এর আওতায় না থাকে তাহলে ডাইরেক্ট টেন্ডার দ্বারা সেগুলো ক্রয় করা যাবে। সরকারি দপ্তরে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে যে ইন্টারেস্ট অ্যামাউন্ট আসে সেটা স্টেট গভার্নমেনট এর মাধ্যমে এক্সচেকারে জমা দিতে হবে। যদি কোনো প্রকল্পে বাধ্যতামূলক বলা থাকে যে সেই প্রকল্পের ইন্টারেস্ট এর টাকা অন্য প্রকল্পে বা সেই প্রকল্পেই ব্যবহার করা যাবে, তখন সেই টাকা ঐ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে সরকারের এক্সচেকারে জমা দিতে লাগবেনা। সরকারি দপ্তরে অফিসারদের একাধিক গাড়ি দেওয়া হবে না। যদি কোন অফিসারের ফাংশানাল ল-এন্ড অর্ডার-এর কাজে দুটো গাড়ির প্রয়োজন হয় সেই ক্ষেত্রে তা প্রদান করা হবে।

বাজেট বিধান ছাড়া কোন আনপেইড লায়াবেলিটি তৈরি করা যাবেনা। সরকারি দপ্তরে টেলিফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় খরচ এড়াতে হবে এবং ন্যূনতম ১০% খরচা কমাতে হবে। সেক্রেটারি বা এর উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের ক্ষেত্রে তা ৫০% হ্রাস করা হবে।

এইচওডি দের ক্ষেত্রে ৪০% হ্রাস করা হবে। এইচওডি দের নিচে পদস্থ আধিকারিকদের, ৩০% হ্রাস করা হবে। কোন অফিসারদের মোবাইল হ্যান্ডসেট প্রদান করা হবেনা, তাঁরা তাদের নিজস্ব হ্যান্ডসেট ব্যবহার করবে।

কোন অফিসারদের অফিস বা নিজ বাড়িতে একাধিক ল্যান্ডলাইন থাকবেনা, যদি কোনো কারণে অপ্রয়োজনী ল্যান্ডলাইন থাকে তাহলে সেটা দপ্তরকে সারেন্ডার করতে হবে।

সমস্ত অফিসগুলোতে ইন্টারনেটের সাহায্য নিয়ে ই-মেইল ব্যবহার করতে হবে, যাতে কাগজের ব্যবহার কমানো যায় এবং ক্রমান্বয়ে যাতে ই-অফিস আর ই-ডেক্স পদ্ধতি চালু হয়। কেন্দ্রীয় স্কীম ছাড়া যেমন এমওপিএফ স্কিম, ইত্যাদি ছাড়া নতুন কোনো যানবাহন রাজ্য বাজেটের এক্সপেন্ডিচার থেকে ক্রয় করা যাবে না। যদি অনিবার্য প্রয়োজনে যানবাহন ক্রয়ের দরকার হয় তখন সে বিষয়ে অর্থ দপ্তরে প্রস্তাব পাঠানো যাবে। সমস্ত দপ্তর পিএসইউ, কো-অপারেটিভ সোসাইটি, বোর্ড, পি আর আই সি এবং অটোনমাস বডিগুলির বিদ্যুৎ বিল হ্রাসের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। যাতে ন্যূনতম ১০% শতাংশ বিদ্যুৎ বিল কমানো যায় । এইচ.ও.ডি. বা হেড অফ দ্য অফিস সরাসরি মনিটর করবে যাতে বিদ্যুতের অযথা অপ্রয়োজনীয় ব্যাবহার না হয়, তার জন্য কোন লাইট বা ফ্যান নষ্ট হলে তার বদলে এল.ই.ডি. লাইট ও এনার্জি এফিসিয়েন্ট ফ্যান লাগানো হবে।

এন্টারটেইনমেন্ট চার্জেস এর সিলিং সুইচ অনুসরণ করতে হবে।
বিভিন্ন সরকারি অনুষ্ঠান, মেলা বা প্রদর্শনী আয়োজিত করতে গেলে মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হবে এবং যত কম খরচ করা যেতে পারে সেই ব্যাবস্থা নিতে হবে।সরকারি বাজেট থেকে টাকা খরচ করে কোন প্রকারের ল্যান্ড একুইসিজিশন করা যাবে না। যদি কোন জায়গায় পাবলিক ডোনেশন বা গিফ্ট ডিড হিসাবে দান করেন তখন সেটা দপ্তর অনুমোদন দেবে। তহবিলের টাকা তখনই তোলা যাবে যখন আসন্ন খরচা অত্যন্ত দরকারি হয়ে পড়বে। লেপ্স এড়াতে এই তহবিলের টাকা উঠানো যাবে না। যদি কোনো কারণে ফান্ডের টাকা ব্যাংক একাউন্টে ছয় মাসের বেশি থাকে তাহলে সেটা দপ্তরে পি এল একাউন্টে জমা দিতে হবে।

লকডাউনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত ত্রিপুরার অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে শক্তিশালী করতে সরকারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে।
সমস্ত দপ্তরের অফিসের খরচ এবং অন্যান্য কনটিনজেন্ট খরচের বাজেট এর নূন্যতম ১৫% সাশ্রয় করতে হবে। কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন সিএসএস, সি এ এস পি বা অন্যান্য ফ্লেগশিপ প্রকল্পের অন্তর্গত যেসকল কন্টিজেন্সি ফান্ড রয়েছে সেগুলোর যথাযথ সাশ্রয় ব্যবহার করতে হবে, যাতে রাজ্যের সরকারি ফান্ডের উপর নির্ভরশীল না হতে হয়। সমস্ত দপ্তরের নন ট্যাক্স রেভিনিউ কালেকশনের উপর ন্যূনতম ১০% বৃদ্ধি দেখাতে হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here