টানা তিনদিনের বৃষ্টির ফলে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। রাজধানী আগরতলার হাওড়া নদীর দুই পাশের নিম্নাঞ্চল গুলি জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল। এই সকল এলাকার হাজার হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল ত্রান শিবিরে। বন্যা কবলিত এলাকা থেকে জল নামতে শুরু করেছে। বন্যা কবলিত এলাকা থেকে জল নামার সাথে সাথে ত্রান শিবির থেকে বন্যা দুর্গতরা নিজ বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে সদর মহকুমা শাসক অসিম সাহা নিজে বিভিন্ন ত্রান শিবির গুলি পরিদর্শন করেন। পাশাপাশি প্রশাসনিক আধিকারিকরাও বন্যা কবলিত এলাকায় অবস্থান করছেন। রয়েছে মেডিক্যাল টিম। প্রতাপগড় ঋষি কলোনি এলাকার প্রায় ৬৫০ টি পরিবার ত্রান শিবিরে আশ্রয় নেয়। এইদিন সকালে ত্রান শিবিরটি পরিদর্শনে যান সদর মহকুমা শাসক। তিনি জানান ত্রান শিবির থেকে বন্যা দুর্গতরা বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে। এখনো যারা ত্রান শিবিরে রয়েছে তাদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পানিয় জল ও স্বাস্থ্য বিধান দপ্তর এবং আগরতলা পুরনিগম থেকে ত্রান শিবির গুলিতে জল সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশুদ্ধ জল সরবরাহ করা হচ্ছে।ত্রান শিবির গুলিতে মেডিক্যাল টিম রয়েছে। এছাড়াও জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের সাথে কথা বলা হয়েছে বন্যা কবলিত এলাকায় মেডিক্যাল টিম পাঠানোর জন্য। যাতে করে ত্রান শিবির থেকে যারা বাড়িতে ফিরে যাচ্ছে তারা চিকিৎসা পরিষেবা পেতে পারে। বন্যা কবলিত এলাকা থেকে বন্যার জল নেমে যাওয়ার পর জলবাহিত রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা থাকে। তাই সেইদিকে নজর রাখার জন্য আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সদর মহকুমা শাসক আরও জানান মঙ্গলবার যদি বৃষ্টি না হয় তাহলে বুধবারের মধ্যে ত্রান শিবিরে আশ্রয় নেওয়া সকলে বাড়ি ফিরে যেতে পারবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।