জনপ্রতিনিধিদের জোর করে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হচ্ছে, অভিযোগ ত্রিপুরার প্রাক্তন মন্ত্রীর

ওয়েবডেস্ক: বুধবার সিপিআইএমের রাজ্য নেতৃত্বের এক প্রতিনিধি দল পুলিশের মহানির্দেশকের সাথে দেখা করার পর দলের সদর কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মানিক দে, বাদল চৌধুরী, নারায়ণ কর ও জিতেন্দ্র চৌধুরী।

সাংবাদিক সম্মেলনের শুরুতে বাদল চৌধুরী বলেন, পৌরসভার উপনির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণভাবে করা যায় অর্থাৎ প্রাথীরা যাতে নির্বিঘ্নে মনোনয়ন জমা দিতে পারেন এবং মানুষ যাতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে সেই পরিবেশ তৈরী করার ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করতে তারা রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশকের সাথে দেখা করেন। বিশেষ করে শান্তির বাজার, বিলোনিয়া, রানীর বাজার, জিরানিয়া, তেলিয়ামুড়া এই পৌরসভাগুলিতে আদেও নির্বাচন করা যাবে কিনা সে বিষয়ে উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেন তারা।

প্রাক্তন মন্ত্রী মানিক দে বলেন, “এই নির্বাচন অস্বাভাবিক নির্বাচন কারণ সাধারণত জনপ্রতিনিধি মারা গেলে বা কোনো কারণ বসত পদত্যাগ করলে উপনির্বাচন হয়। কিন্তু পৌরসভা নির্বাচনেও ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতের মতো জনপ্রতিনিধিদের জোর করে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। সমগ্র ত্রিপুরা রাজ্যে ২০টি নগর সংস্থার আসন সংখ্যা ৩১০টি, তার মধ্যে ১৫৮টিতে অর্থাৎ ৫০ শতাংশ আসনে একসাথে উপনির্বাচন হচ্ছে যা বিপজ্জনক।”

সংসদ জিতেন্দ্র চৌধুরী বর্তমান সরকারের ওপর অভিযোগ এনে বলেন, “খোয়াইতে রিটার্নিং অফিসার সর্বদলীয় যে বৈঠক ডেকেছিলেন কংগ্রেস ও সিপিআইএম দলের দুই সদস্য সেই বৈঠক শেষে বাড়ি ফেরার পথে আক্রান্ত হন, তাদের বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। শাসকদল ষড়যন্ত্র করে বিরোধী কর্মী সমর্থকদের ওপর সাঁড়াশি আক্রমণ চালাচ্ছে।”

error: Content is protected !!