সদর দফতর রক্ষার চ্যালেঞ্জ অন্যদিকে গণতন্ত্র প্রয়োগ, ছত্তীশগঢ়ে টিকে থাকার লড়াইয়ে ‘মাওবাদী’

কল্যাণ অধিকারীঃ জঙ্গল বেষ্টিত রাঢ় অঞ্চলে ওদের সদর দফতর। লড়াইটা সরকার নামক রাষ্ট্রতন্ত্রের বিরুদ্ধে । গণতন্ত্র প্রয়োগে বয়কট মুখস্থ একখান পঙক্তি। লুকিয়ে আশ্রয় নেওয়া ‘মাওবাদী’ আখ্যান পাওয়া একদল মানুষ নিরন্তর লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে । একসময় সরকারের উন্নয়ন পৌঁছে না যাওয়া ও অনুন্নয়নের লড়াইয়ে মাওবাদী ভ্রূণের সৃষ্টি। আজ তা পূর্ণাঙ্গ যৌবনে পরিণত।

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ের দিনে সদর দফতর রক্ষার কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। যাদের কাছে ভীতি ও শক্তির পরাকাষ্ঠা হয়ে থাকা। উন্নয়ন না ঘটাবার জন্য কেন্দ্রের দিকে আঙুল উঠিয়ে চলা।আদিবাসী ও জঙ্গল তাপে দিনরাত কাটানো মানুষগুলো এবার কোনদিকে?

পার্থক্য ঘুচিয়ে ও নিষেধ স্বত্বেও ভোটে সেই মানুষগুলোর উপস্থিতি কতটা। বস্তার, দান্তেওয়ারা সদর দফতরে প্রতিটি মুহূর্তে আপডেট পৌঁছে যাচ্ছে । সরকারের রক্তপাতহীন গণতন্ত্র প্রদানের চ্যালেঞ্জ কে প্রতিহত করতে আইইডি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে প্রাথমিক উপস্থিতি টের পাইয়েছে। কিন্তু এভাবে কি টিকে থাকা যায়?

বস্তার, কাঙ্কের, সুকমা, দন্তেওয়াড়া, কোণ্ডাগাঁও, রাজনন্দগাঁও এসমস্ত এলাকায় ‘মাওবাদী’ নামক লড়াইয়ের রাজত্ব! আজ ওখানেই চলছে গণতন্ত্রের সুইচে আঙুল দেওয়ার কাজ। আগামী পাঁচ বছরের জন্য উন্নয়নের আলো দেখার অদম্য লড়াই। খাকি উর্দি ও ভারি বুটের স্পর্শ যেখানে স্বাধীনতার সাত দশকেও পড়েনি এবার কি তারি আগমনি?

সময়ের সাথে পরিবর্তন হয় আন্দোলন । পটভূমির বদল হয়ে উন্নয়নের আলোয় আন্দোলন ঢাকা পড়বার লড়াই। দফতর রক্ষায় মৃত্যু নামক শব্দে নাম লেখানোর লাইন। তবুও শেষ হবার আগে নতুন শুরুর প্রচেষ্টা । গণতন্ত্রের বাজিকে ঠেকিয়ে জনসংযোগের ভীতি দিয়ে লড়াইয়ে ফিরে আসবার চ্যালেঞ্জ । সব মিলিয়ে ‘মাওবাদী’ চ্যালেঞ্জের সামনে দাঁড়িয়ে গণতন্ত্র প্রয়োগ শুরু ছত্তীসগঢ়ে।

error: Content is protected !!