বাংলাদেশে পাচারের পূর্বেই অবহেলায় মৃত্য ঘটে ৪৫টি গরুর

বাংলাদেশে পাচার হওয়ার আগে সীমান্ত থেকে উদ্ধার হল অন্তত ৪৫টি গরু। এদের রাখা হয়েছিল ত্রিপুরারই একটি গোশালায়। যেটির দায়িত্বে রয়েছে একটি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। অভিযোগ, ‘অবহেলায়’ মৃত্যু হয়েছে উদ্ধার হওয়া ওই সবকটি গরু।

পিটিআই প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ত্রিপুরায় যে গোশালায় উদ্ধার হওয়া গরুগুলিকে রাখা হয়েছিল, তার বেশির ভাগ অংশেই কোনও পাকাপোক্ত ছাউনি নেই। যার ফলে রোদ-বৃষ্টিতে খোলা আকাশের নীচেই থাকতে হয়ে গরুগুলোকে। এই বর্ষার মরশুমেও তাই হয়েছে। জানা গিয়েছে, বিগত তিন দিনে বৃষ্টিতে ভিজে ‘হাইপারথারমিয়া’য় মৃত্যু হয়েছে ৪৫টি গরুর। ১৪ মে থেকে ওই গোশালাতেই ১৫৯টি গরুর মৃত্যু হয়েছে বলে পিটিআই সূত্রের খবর।

উল্লেখ্য, ত্রিপুরার ওই গোশালায় এখনও পর্যন্ত ৭০০টি গরু রয়েছে। ত্রিপুরা সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ দিল্লির একটি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ওই গোশালার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে। যার নেতৃত্বে রয়েছেন জোশিন অ্যান্টনি। তিনি জানিয়েছেন, “এখানে বিগত ছ-দিন টানা বৃষ্টি হয়েছে। সেই সময় গরুগুলো খোলা আকাশের নীচেই ছিল। বৃষ্টির জলে ভিজে হাইপারথারমিয়ায় গরুগুলোর মৃত্যু হয়েছে।” তাঁর অভিযোগ, গরুদের দেখভাল করার দায়িত্ব তাঁদের ওপর থাকলেও সরকারি তরফে কোনও সাহায্য ইদানীং সময়ে পাওয়া যায়নি। জোশিন অ্যান্টনির আরও অভিযোগ, সরকার তাঁদের সংস্থাকে চার একর জমি ছাড়া আর কিছুই দেয়নি। যদিও পশু সংরক্ষণ দফতরের ডিরেক্টর জেনারেলকে যোগাযোগ করা হলে, ডঃ দিলীপ কুমার চাকমা জানান, ২-৩ মাসই হয়েছে বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা গোশালা পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছে। তারাই পাচার হওয়ার আগে উদ্ধার হওয়া গরুর দেখভাল করে। তিনি স্বীকার করা করে নিয়েছেন গোশালার অব্যবস্থার কথা। খাবার না পেয়েও যে অনেক গরুর মৃত্যু হয়েছে তা নিজ মুখেই জানিয়েছেন ডিরেক্টর জেনারেল ডঃ দিলীপ কুমার চাকমা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here