আগরতলাঃ “সপ্তম পে কমিশন জুমলা”। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে রাজ্য সরকারের দেওয়া সরকারি কর্মচারীদের সপ্তম পে কমিশন কে “জুমলা” বলে আখ্যায়িত করলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিজন ধর । দেবীপক্ষের শুরুতেই রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য সপ্তম বেতন কমিশন ঘোষনা করল রাজ্য সরকার । ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে লাঘু হবে সপ্তম বেতন কমিশন । সব ক্ষেত্রে ১৪.২ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা। সপ্তম বেতন কমিশনের ফলে গ্রুপ সি কর্মচারীদের সর্বনিন্ম বেতন ১৮০০০ টাকা ও গ্রুপ ডি কর্মচারীদের সর্বনিন্ম বেতন ১৬০০০ টাকা । পুজোর আগে রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারী মহল । পুজোর আগে পে কমিশন ঘোষণা হয়ে যাওয়ার এবার পুজো কিছুটা হলেও অন্যরকম ভাবে কাটিয়েছেন সরকারি কর্মীরা ।
কিন্তু সপ্তম পে কমিশনকে “এবার জুমলা” বললেন বিজন বাবু । সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেছেন, বিজেপি সরকার নির্বাচনের আগে যে সমস্ত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো সে গুলো কার্যকরী করার তো উদ্যোগ নেই । যে দু একটা ক্ষেত্রে ওরা উদ্যোগ নিয়েছে সেটা একেবারেই জুমলা । সপ্তম পে কমিশন দেওয়ার কথা বলা ছিলো সেটা “জুমলা”। সিপিএম রাজ্য সম্পাদকের এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিজেপির রাজ্য সম্পাদিকা প্রতিমা ভৌমিক ডাকবার্তার প্রতিনিধিকে টেলিফোনিক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “সিপিএম সহ্য করতে পারছেনা যে বিজেপি সরকার সপ্তম পে কমিশন দিয়েছে । প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন সপ্তম পে কমিশন দেওয়া সব চাইতে কঠিন কাজ । কেউ ভালো কাজ করুক সেটা সিপিএম চায়না । বিজেপি সরকারে আসার আগে সপ্তম কমিশন দেওয়ার কথা ঘোষনা করেছিলো । আমাদের মুখ্যমন্ত্রী সেটি করে দেখিয়েছেন । আমরা আশা করেছিলাম সিপিএম সপ্তম পে কমিশন দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ দেবে। বিজন ধরের কাছ থেকে আমরা এটা আশা করেছিলাম। কিন্ত ওনারা তো চোরে শোনেনা ধর্মের কথা, বাজারে এমন একটা অবস্থা। বিরোধিতা করতে লাগে সিপিএমের তার জন্য সবসময় এইরকম মন্তব্য করছে । “জুমলা’ একটা শব্দ। জুমলা করতে করতে তারাই চলে যাবে । আগামী লোকসভা নির্বাচনে সিপিএম ধূলিসাৎ হয়ে যাবে। সমাজের ভালো কাজকে সিপিএম কোনদিন ভালোভাবে নেয়না“।