সন্তান হারানোর কষ্ট, যন্ত্রণা গর্ভধারিণী মা ছাড়া কেউ বুঝবে না

শুভঙ্কর মুখার্জি(আগরতলা) বোধনের দিনেই ঘটেছিলো দুর্ঘটনা। আর অষ্ঠমীর দুপুরে সব শেষ।  মহাঅষ্ঠমীর সকাল থেকে যখন মন্ডপে মন্ডপে মায়ের পায়ে অঞ্জলি দিতে ব্যাস্ত রাজ্যবাসী ঠিক সেই সময় দাস পরিবারে শোনা গেলো বিষাদের সুর। এই আনন্দমুখর দিনে মা-বাবা পরিবারের কাছ থেকে চিরতরের জন্য দূরে চলে গেলো আদরের প্রিয় ঋষি। আর পাঁচটা বাচ্চার মত এবার পুজোয় তারও নতুন জামা –কাপড় হয়েছিলো। সেও ভেবেছিলো আর সকলের মত পরিবারের সঙ্গে মজা করে ঠাকুর দেখবে,আনন্দ করবে। কিন্তু আজ সব শেষ। একেই বলে হয়ত ভাগ্য। যখন ছোট ছোট বাচ্চারা তাঁর মা-বাবার হাত ধরে ঠাকুর দেখবে সেই সময় ছোট্ট ঋষির বাবা-মা বুক চাপড়ে কাঁদবে ছেলের জন্য। এটাই নিয়তি। জন্ম-মৃত্যু পুরোটাই লেখা বিধাতার হাতে। বিধাতা যখন চাইবে তখনি চলে যেতে হবে এ পৃথিবী ছেড়ে। কিন্তু শিশুটির দোষ কোথায়? যার জন্য বিধাতা তাকে এত তাড়াতাড়ি তার কাছে নিয়ে গেলেন? সত্যি এ এক আজব দুনিয়া বাস করছি আমরা । যে মা তার সন্তান হারালো সেই মা-ই একমাত্র বুঝবে সন্তান হারানোর ব্যাথা।  দশ দিন দশ মাস গর্ভে ধারন করে যে মা তার শিশুকে পৃথিবীর আলো দেখায় সেই মায়ের কোল থেকে ছেলে চলে যাওয়ার পর যে কষ্ট সেই কষ্ট একমাত্র সেই মা ছাড়া পৃথিবীর আর কেউ পায়না । সাধারন মানুষ হয়ত সমবেদনা জানাবে কয়েকটা দিন । কিন্তু তারপরেই সব শেষ । ভুলে যাবে ছোট্ট ঋষির কথা।  কিন্তু সবাই ভুলে গেলেও তার মা যতদিন বেঁচে থাকবে ততদিন  ছোট্ট ঋষির ছবির সামনে চোখের জল ফেলে।  পৃথিবীতে মা ছাড়া সত্যি কেউ কোনদিন আপন হয়না।

error: Content is protected !!