সততার মুখোশের আড়ালে আসল চিত্র ধরা পড়লো প্রাক্তনের

আগরতলাঃ “আইপিএফটি বিচ্ছিনতাবাদী দল। এরা রাজ্যের শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট করছে। এরা বিভেদ্গামী শক্তি। ত্রিপুরা রাজ্যটাকে ভাগ করতে চাইছে এই আইপিএফটি। জাতি-উপজাতির মধ্যে বিভেদ তৈরি করার চেষ্টা করছে তারা”। আজ থেকে ঠিক কয়েকমাস আগে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের অনেক আগে থেকে বিভিন্ন জনসভা থেকে শুরু করে সরকারের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আইপিএফটিকে বিচ্ছিনতাবাদী,বিভেদ্গামী শক্তি বলে মন্তব্য  করতে শোনা যেত তৎকালীন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বিরোধী দলনেতা মানিক সরকারকে। শুধু মুখ্যমন্ত্রী নন সিপিএমের বড় থেকে ছোট প্রতিটি নেতার মুখে শোনা যেত এক কথা। কিন্তু আজ সব অতীত। মানিক সরকারের কথায় বিচ্ছনতাবাদী দল আইপিএফটি আজ তাদের মিত্র। কথাটা অবিশ্বাসের হলেও এটাই সত্যি। বিজেপি সরকারের জোট শরিক আইপিএফটিকে সঙ্গে নিয়ে সিপিএম জিরানীয়া ব্লকের বীণাপাণি পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করছে । সদ্য সমাপ্ত ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত উপনির্বাচনে ওই পঞ্চায়েতে ৯টি আসনের মধ্যে বিজেপি ৪টি আসনে জয়লাভ করেছে । আইপিএফটি ৩ টি আসনে জয়লাভ করেছে আর বাকি ২টি আসন গেছে সিপিএমের দখলে । সূত্রের  খবর এরপরেই সিপিএম ও আইপিএফটি দুজন মিলে একইসঙ্গে পঞ্চায়েত দখল করতে চাইছে।

কিন্তু এর মধ্যেই দেখা যায় যে সিপিএমের জয়ী প্রার্থী গোপাল শীলের সদস্যপদ নিয়ে কিছু প্রশ্ন ওঠে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবী করা হয়েছিলো সমস্ত সমস্যা মিটে যাওয়ার পর শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান হবে। কিন্তু আইপিএফটির জোরাজুরিতে শুক্রবার রাতেই শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান হয় । আর এই ঘটনা সামনে আসার পরেই দেখা দিয়েছে একাধিক প্রশ্ন। বাম আমলে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার আইপিএফটিকে প্রকাশ্যে বিচ্ছিনতাবাদীর দল বলেছিলেন, সেই আইপিএফটির সঙ্গে কিভাবে তার দল সিপিএম একসঙ্গে জোট বেঁধে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করলো? রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন তাহলে কি সেইসময় শুধু মাত্র লোক দেখানোর জন্য আর মানুষের মনে কেমোফ্লেজ সৃষ্টি করার জন্যই কি তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ও তার দলের নেতারা আইপিএফটিএর বিরুদ্ধে সমলোচনায় সরব হয়েছিলেন?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here