আগরতলাঃ ত্রিপুরার উন্নতির জন্য চাই শিল্পের উন্নয়ন। শিল্পের বিকাশে সবথেকে বেশী গুরুত্বদিতে হবে ছোট,ক্ষুদ্র আর মাঝারি শিল্পের উন্নয়নকে। কারন ছোট, ক্ষুদ্র আর মাঝারি শিল্পই হলো রোজগারের প্রধান মাধ্যম। শিল্পোদ্যোগের মাধ্যমে নিজের আর্থিক দিক দিয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি অন্যদেরও রোজগারের সুযোগ করে দেওয়া যায় । শুক্রবার রাজধানীর চিলড্রেন পার্কে এম এস এম ই সেক্টরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে ছোট,ক্ষুদ্র আর মাঝারি উদ্যোগের সাপোর্ট এবং আউটরিচ কর্মসূচীর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেন। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন “বিগত কয়েক মাসে একজনও আমাদের সরকারের ওপর ভ্রষ্টাচারের আঙ্গুল তুলতে পারেনি। আমরা পিপিপি মডেল চাই,আমাদের এন্টারপেনারশিপের উন্নয়ন করতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকার যেসব স্কিম আনছে, সেগুলি গরিব মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।”
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন দেশের ১০০টি জেলার মধ্যে রাজ্যের পশ্চিম ত্রিপুরা জেলাকে বাঁশের জন্য এবং সিপাহীজলা জেলাকে ধূপকাঠির শলা তৈরির জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। এই কর্মসূচি ঘোষণার ফলে উদ্যোগীরা অনলাইনের মাধ্যমে শিল্প প্রসারের জন্য ঋন পেতে পারবেন। রাজ্য সরকার শিল্পপতিদের রাজ্যে শিল্পদ্যোগ গড়ে তোলার জন্য সিঙ্গেল উইন্ডো সিস্টেম চালু করেছে । রাজ্য তথা দেশের বেকারত্ব নিয়েও তিনি নতুন দিশা দেখানোর চেষ্টা করেছেন। তিনি বলেন, “ত্রিপুরা রাজ্যে ৭-৮ লক্ষ বেকার আছে । তারা কেউ এমবিএ করেছে, কেউ গ্রাডুয়েশন করেছে কেউ এমএ করেছে। আমাদের চাকরি দেওয়ার সুযোগ আছে, আমরা দেব। কিন্তু এন্টারপেনারশিপের যে সুযোগ আছে, তা চাকরিতে নেই। ওখানে নিজের সাথে সাথে আরো কয়েকজনকে চাকরি দেওয়া যায় । সরকারি সিস্টেমে কাজ করতে হয়না। নিজেই সিস্টেম তৈরী করার সুযোগ রয়েছে।”
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের বিভিন্ন শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরেন।তিনি বলেন, বাঁশ হচ্ছে ত্রিপুরার অনন্য সম্পদ। রাজ্যে বাঁশ ভিত্তিক শিল্প গড়ে ওঠার সম্ভবনা রয়েছে। এই জন্য বেম্বো মিশন, বনদপ্তর ও অনান্য দপ্তরের উদ্যোগে রাজ্যে ২৫০০ সেক্টর জমিতে বাঁশ চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আজকের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক আশিস সাহা, শিল্প উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান টিঙ্কু রায় সহ অনান্য আধিকারিকরা।